দুই দেশের মধ্যে পূর্ব চুক্তির ভিত্তিতে ভুটানের আরও ১৬টি পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করে, যা সোমবারে প্রকাশিত হয়।
আদেশে বলা হয়, ভুটান থেকে দুধ, প্রাকৃতিক মধু, গম বা মেসলিনের আটা, জ্যাম, ফলের জেলি, মার্মালেড, সিমেন্ট ক্লিংকার, পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট, সাবান, পার্টিকেল বোর্ড, কাঠ, খনিজ জল, বায়ুযুক্ত জল, গমের ভুসি এবং কাঠের আসবাবপত্রসহ ১৬টি পণ্য আমদানিতে কোনো শুল্ক বা কর আরোপ করা হবে না।
তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভুটান থেকে বাংলাদেশ বেশি পণ্য আমদানি করে না। ফলে শুল্ক অব্যাহতি দিলেও সরকার খুব বেশি রাজস্ব হারাবে না।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) অধীনে ভুটানের ৩৪টি পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয় বাংলাদেশ।
ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের পিটিএ-এর শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে এবং ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।
তবে ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ ১৮টি পণ্যের জন্য ভুটানকে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দিয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ৯০টি পণ্য ভুটানে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাচ্ছে।
বাংলাদেশ মূলত ভুটানে তৈরি পোশাক, খাদ্য সামগ্রী, প্লাস্টিক, ওষুধ, গৃহসজ্জার সামগ্রী এবং বৈদ্যুতিক সামগ্রী রপ্তানি করে। অন্যদিকে, ভুটান থেকে শাকসবজি, ফলমূল, খনিজ সম্পদ, নির্মাণ সামগ্রী, নুড়ি পাথর এবং রাসায়নিক পণ্য আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ।