কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনে চার জনকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে বেশ কয়েকটি টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। রবিবার (৭ আগস্ট) রাত ১১টা থেকে সোমবার ভোর ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব টর্চার সেলের সঙ্গে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম এক ব্রিফিংয়ে জানান, কক্সবাজার শহরের কলাতলীর কটেজ জোন এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানে সাইনবোর্ড ছাড়া শিউলি কটেজ হিসেবে পরিচিত একটি প্রতিষ্ঠানে গেলে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। নানাভাবে তালা খুলতে বলার পরও তালা খুলে না দেওয়ায় সেই তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করা হয়। ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ অপরাধীরা বিকল্প একটি পথে পালিয়ে যায়। এই সময় একটি কক্ষে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করা হয় চারজনকে। একইসঙ্গে ওই কক্ষ থেকে নির্যাতন করার নানা উপকরণও জব্দ করা হয়।
উদ্ধার করা হয় চার জনকে। তাদের জানান, সেখানে ৫ থেকে ৬ জন ছেলে ও তিন জন নারী ছিল। দালালের মাধ্যমে প্রলোভন দেখিয়ে পৃথকভাবে তাদের ওই কটেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রবেশের পর সঙ্গে থাকা নারীদের সঙ্গে নানা আপত্তিকর ছবি তুলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। হাতিয়ে নেওয়া হয় সব টাকা-পয়সা। আরও টাকার জন্য পরিবারকে জানাতে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
তিনি জানান, এ রকম আরও কয়েকটি কটেজে জিম্মি করে নির্যাতনের তথ্য রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। পরে কটেজ জোনে অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ চক্রের দালাল চক্রের ১১ জনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।