ডলার নিয়ে কারসাজির দায়ে পাঁচ মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে ৪২টি মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় আরও ৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “মানি এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোতে পরিদর্শন চলছে। লেনদেনের বিভিন্ন তথ্য ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সংগ্রহ করছি। বিষয়গুলো তদারকি করা হচ্ছে। কোনো অনিয়ম পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রাজধানীর বিসমিল্লাহ মানি এক্সচেঞ্জ, অঙ্কন মানি এক্সচেঞ্জ, ফয়েজ মানি এক্সচেঞ্জসহ পাঁচটির লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, “ডলার সংকটের কারণে আমরা আমদানিতে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছি। এখন ৩ মিলিয়নের (৩০ লাখ ডলার) বেশি আমদানি এলসি খোলার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নিতে বলা হয়েছে। আগে যেটা ছিল ৫ মিলিয়ন। এতে দেখা যাচ্ছে অনেক এলসিতে অপ্রয়োজনীয় ও বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। আমরা এগুলোর অনুমতি দেইনি। ফলে গত জুনের তুলনায় জুলাই মাসে আমাদের আমদানি এলসি অনেক কমেছে। এছাড়া রেমিট্যান্স ও রপ্তানিও বেড়েছে। এসব দিক বিবেচনা করলে আমরা বলতে পারি বাজার স্থিতিশীল হয়ে আসবে।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে। তবে খোলাবাজারে এক ডলার বিক্রি হচ্ছে ১০৯ টাকা থেকে ১১০ টাকায়।