একজন জেনারেলসহ ছয়জন অফিসার হেলিকপ্টারটিতে ছিলেন। তারা সেনাবাহিনীর বন্যাত্রাণ অপারেশন তদারকি করছিলেন। আবহাওয়া খারাপ থাকায় সেনা অফিসারদের নিয়ে যাওয়া হেলিকপ্টারটির সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়।
সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেলুচিস্তানের লাসবেলা এলাকায় সেনা সদস্যরা বন্যাত্রাণে দিচ্ছিলেন, তা দেখার জন্য অফিসাররা হেলিকপ্টারে করে সেখানে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হেলিকপ্টারের কী হয়েছে, তা বিবৃতিতে জানানো হয়নি।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, কোর কমান্ডার সরফরাজ আলি, পাকিস্তান কোস্টগার্ডের ডিরেক্টর জেনারেল ব্রিগেডিয়ার আমজাদ হানিফ ও দুইজন গোয়েন্দা অফিসার হেলিকপ্টারটিতে ছিলেন।
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ শুরু হওয়ার পর হেলিকপ্টারটিকে আর দেখা যায়নি।
খারাপ আবহাওয়ার জন্য উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে তা আবার শুরু হয়।
পাকিস্তানে ভয়ংকর বৃষ্টির পর প্রবল বন্যা শুরু হয়েছে। দুর্গত এলাকায় সেনাবাহিনীকে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে লাগানো হয়েছে। বেলুচিস্তানে প্রচুর মানুষ মারা গেছেন এবং অনেক ঘরবাড়ি ভেসে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক। সোমবার তিনি দুর্গত অঞ্চল ঘুরে দেখেছেন। শরীফ বলেছেন, “পুরো দেশ বন্যাদুর্গত ও তাদের সাহায্যকারীদের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করছে।”
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দিনগুলিতে পাকিস্তানে আরও বৃষ্টি হবে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।