স্বপ্নের ঠিকানায়
যে ভোল্টেজ বানিয়ে দিয়েছিলো গুনাই
তা এখন অটোটিউন হয়ে
বাজে সাধারন মানুষের মনে
তোমারা দেখেছো গুনাইবিবির পালা
তাহলে এসো গুতোম মাছ হয়ে ভাসাই ভেলা
যে ভেলায় একদিন সুর তুলেছিল বেহুলা
আমরা তাতে লাঙ্গল দেই
লাঙ্গলের ফলায় মাটির সাঘে
গুনাই বিবির কথাও উঠে আসে
আমরা কাঁদিনা আমাদের মন ভালো করে দিয়েছে গুনাই
তাই আমরা হ্যাজাক লাইট জ্বালাতে পারি
স্বপ্নের ঠিকানায়
নাগরদোলা
বেহুলাও একদিন গান গেয়েছিলো
মুকুন্দ দাসের সাথে
রাম – রহিম না জুদা করো।।……
তাদের সেই গানে খুশি হয়ে
জিউস বন্ধ করেছিলো অগ্নিবান
ক্রোনাসপুত্রোর এইঅবস্থা দেখে
আফ্রোদিতি দোলনচাঁপা দিয়েছিল খোঁপায়
আর কামিনী ফুল ফুটেছিলো কেডিসিতে
বাস্তবেই আফ্রোদিতি স্বর্ণআপেল
দিয়েছিলো নাগরদোলায়
মেঘ
তোমাকে এক চামুচ মেঘ খাপয়াবো
তাতেই তুমি টান্টালাস হয়ে যাবে
খেতে চাইবে আারো আরো মেঘ
আমি কয়েক গিগাবাইট মেঘ খাওয়াবো
তুমি হয়ে যাবে পরী
নীল পরী,লালপরী,সবুজ পরী
তোমার জন্য নাচবে মুকুন্দ দাসের চারণ সভায়
আার তুমি ইলিশ হয়ে যাবে।
প্রেম
সূর্য মনি মেলার সমস্ত বসন্তদিন
তোমার হাতে তুলে দেবো
তুমি আমায় বলো ভালোবাসি
তোমার জন্য হয়ে যাবো ওডেসিয়াস
কাঠের ঘোড়ায় বাঁধবো লাগাম
তবুও তুমি একবার বলো ভালবাসি
এতো যে দইত্যরাজি চারিদিকে
তার সাথে যুদ্ধ করবো
শুধু তোমার জন্য তুমি আমার নয়নতারা পাতা
তোমার শিকড়ে জমে থাকা জলবিন্দু দিয়ে নিজেকে
স্নান করাবো যাতে তুমি পাও অক্সিজেন
তোমাকে একদিন সজনেডাঁটা রান্না করে খাওয়াবো
আমি পদ্মফুল হয়ে যাবো পদ্মপুকুরে
নীল ভোমরা হয়ে উড়বো তোমার আকাশে
তবু তুমি একবার বলো ভালবাসি
আশা
আরো একটা আশার মাস শুরু হলো
সব মাধ্যমেই জুড়ে বসে আছে আশা
তার কম্বলের লোমে গরম হয়ে আছি
আমি আর আমাদের পিপাসারা
টান্টালাস হয়ে ঘুরছে অলিতে গলিতে
তোমারাতো জানো আশার গল্প
যে কেবল পথ দেখায় এমাসে
তার রুপ বেড়ে গেছে আরো
নির্জনতায় হাঁটতে গিয়ে যে কেবল
কৃষ্ণ চুড়া ফুটায় হৃদয়ের প্রকোষ্ঠ চুড়ায়
প্রিয়মুখ
কত প্রিয়মুখের সাথেই দেখা হবেনা আর
একদা যাদের উপস্থিতিতে শরীরে জোনাক পোকা জ্বলতো; টিনের চালে ফুটতো বৃষ্টির ছটা
তারা এখন সিলেট বরিশাল ঢাকা ন্যুইয়র্ক
নরওয়েতে বসে আছে
নিজ নিজ ক্ষেত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে
মাঝে মাঝে কথা হয়
সুখ দুঃখের আলাপে খেছারি শাক
ফোটে হৃদয়ের আঙ্গিনায়
এইযে কত কত প্রিয়মুখ
যারা সজনে ডাটা হয়ে ফুটে আছে
প্রিয় গাছগুলোয়
তাদের জন্য এখনি লিখতে চাচ্ছিনা কোন এলিজি।