ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে ভেজাল মদপানের ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন মারা গেছেন। এতে করে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ জনে। বুধবার (২৭ জুলাই) রাজ্যটির কর্মকর্তারা এই তথ্য সামনে আনেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ভেজাল মদপানের ঘটনায় মঙ্গলবার ২১ জনের প্রাণহানির কথা জানানো হয়েছিল। এদিকে গত সোমবারের এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ কর্মকর্তা অশোক কুমার যাদব রয়টার্সকে বলেছেন, ‘নকল মদপানের পর সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের কয়েকজন রাতে মারা গেছেন। ভুক্তভোগীরা মদ মনে করে মিথাইল অ্যালকোহল খেয়েছিল। প্রায় কোনো কিছুর সঙ্গে মেশানো ছাড়াই তারা এটা পান করে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, গুজরাটের আহমেদাবাদ ও বোটাদ জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে ভেজাল মদ্যপানে মৃত্যুর এই ঘটনা ঘটেছে। এসব এলাকার বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা গ্রামে নকল মদ বিক্রির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।
এদিকে এই ঘটনার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে গুজরাট সরকার। রাজ্যটির একজন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ-এর নেতৃত্বে মঙ্গলবারই একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করা হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজ রাজ্য গুজরাট আসলে ‘ড্রাই স্টেট’ । এই রাজ্যটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ। মূলত সরকারি অনুমোদিত ব্যক্তিদের ছাড়া ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে অ্যালকোহল বিক্রি এবং সেবন নিষিদ্ধ।
তবে অবৈধভাবে উৎপাদিত অ্যালকোহল সেবন থেকে মৃত্যুর ঘটনা ভারতে সাধারণ ব্যাপার। দেশটিতে অবৈধভাবে উৎপাদিত অ্যালকোহল মূলত হুচ বা দেশীয় মদ নামে জনপ্রিয়।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, মিথাইল অ্যালকোহল আসলে কাঠের অ্যালকোহল নামেও পরিচিত। এই পণ্যটি মানুষের ব্যবহারের জন্য অনিরাপদ এবং পেইন্ট থিনার থেকে জ্বালানি, কীটনাশক ও অ্যান্টি-ফ্রিজ হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।