রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠকের পর চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যার ছয়টার দিকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির ও রেলের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকে রনির ছয় দফা দাবি পূরণে সচিব ও মহাপরিচালক আশ্বাস দেন। এই আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন রনি।
বৈঠকের পর রনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রেখে, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ডিজির প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং আমার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে তৃতীয় কোনও পক্ষ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেজন্য আপাতত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি।
তাকে রেলওয়ের অংশীজনদের প্রতিনিধি করা হয়েছে বলেও জানান রনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনে ৬ দফা দাবিতে গত ৭ জুলাই থেকে আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্ট্যাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
তার দাবিগুলো হলো- ই-টিকিটিং প্ল্যাটফর্মে (Shohoz.com) যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা, টিকিট বিক্রির কালোবাজারি প্রতিরোধ করা,অনলাইনে টিকিট বুকিং সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার পাশাপাশি যেকোনো ধরনের টিকিট কেনার সহজ ও স্বচ্ছ উপায় তৈরি করা, জনসাধারণের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো, ট্রেনের টিকেট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ এবং ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অন্যান্য পরিষেবা নিশ্চিত করা।