ভিকটিমকে (ধর্ষণের শিকার) প্রশ্ন বা জেরা করতে আদালতের অনুমতির বিধান রেখে ‘এভিডেন্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২২’ এর অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৫ জুলাই) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা ভার্চ্যুয়ালি বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গত ১৪ মার্চ মন্ত্রিসভায় আইনটি নিয়ে আসা হয়েছিল। তখন নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বেশ কয়েকটি সংশোধনী আনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যিনি ভিকটিম থাকবেন তার চরিত্রের বিষয়ে অনেক সময় বিরোধী পক্ষ থেকে চরিত্রহীন হিসেবে প্রমাণ করার একটা প্রবণতা থাকে। সেটা রেস্ট্রিকশন করে দেওয়া হয়েছে যে, স্টেটওয়ে কারো চারত্রিক বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে গেলে আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। আদালত যদি মনে করেন, কারণ সবক্ষেত্রে আউটলাইন করে না দেওয়া হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রে খারাপ লোকজনও থাকতে পারে যে, ট্র্যাপ করে ভালো একজন লোককে ট্র্যাপে ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে আদালত বিবেচনা করবেন, কারো চারিত্রিক বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবে কিনা।
ডিজিটাল কোর্টকে রিকগনাইজ করা হয়েছে বিধায় কিছু সংশোধনী আনার প্রয়োজনবোধ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষ সচিব বলেন, যাতে ডিজিটাল কোর্ট, ডিজিটাল সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হয়। কারণ এভিডেন্ট অ্যাক্টে এটা ছিল না।
তিনি বলেন, আইটির ক্ষেত্রে ইনফরমেশন বা ডাটা ব্যবহার করা হবে। শুধু ইনফরমেশনকে ইনক্লুড করা ছিল। যে সব ইনফরমেশন আসবে সেগুলো সাক্ষ্য হিসেবে নেওয়া যাবে। কেবিনেট মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে যে, ডাটাকেও (সাক্ষ্য হিসেবে) নিতে হবে।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ইনক্লুড করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ডিজিটাল রেকর্ডকে কনসিডার করা হবে। এটা আগে ছিল না।
আইনটি খুব শিগগিরই বাংলা করতে বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা ১৮৭২ সালের অ্যাক্ট। এটা একটু সময় লাগবে বলে তারা জানিয়েছেন।