চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় করা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, মেহেদী হাসান ওরফে হৃদয়, আজিম হুসেন, বাবু ও বহিরাগত শাওন। তাদের মধ্যে মেহেদী ও আজিম ছাত্রলীগের কর্মী। মেহেদী ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ ও আজিম ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, ১৭ জুলাই রাত সাড়ে নয়টায় ক্যাম্পাসে পাঁচ তরুণের হাতে এক ছাত্রী যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় পাঁচ তরুণ ওই ছাত্রীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে ফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। এর এক দিন পর বুধবার হাটহাজারী থানায় মামলা করেন তিনি।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বুধবার থেকেই উত্তাল হয়ে পড়ে ক্যাম্পাস। রাতেই ছাত্রীরা হল থেকে বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে চার কার্যদিবসের মধ্যে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দেন। অন্যথায় প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করার কেথা জানান।
এবার গ্রেপ্তার অভিযুক্ত তিন ছাত্রকে আগামীকাল রবিবারের মধ্যে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করার কথা জানালেন চবি উপাচার্য শিরীণ আখতার।
শনিবার বেলা ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪তম বার্ষিক সিনেট সভায় উপাচার্য শিরীণ আখতার বলেন, “শুক্রবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে র্যাব। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিনজন। এটা খুব লজ্জার সঙ্গে বলতে হচ্ছে। তাদের আজ অথবা আগামীকালের মধ্যেই বহিষ্কার করা হবে।”
উপাচার্য আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, এটি খুব লজ্জাজনক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত এ ঘটনার খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি বিশেষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাঠিয়েছেন। অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।”