পুরনো দিনের জলপাই রঙের জ্যাকেট। ওটা গায়ে চাপিয়ে আজ ক্লাশে এসেছেন প্রতাপ স্যার। জ্যাকেটের গলা থেকে নিচ অবধি পিতলের এক সারি বোতাম। সব কটা বোতাম আজ বন্ধ। বন্ধ না রেখেই বা উপায় কি? জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে শহরে। সঙ্গে সাঁই সাঁই বাতাস। হাড় হিম হয়ে যায়। হি হি করে কাঁপছে সবাই। ঠাণ্ডায় জুবুথুবু মানুষ পথে তেমন বের হয়নি। দোকান অফিস কাছারিতে লোকজনের হাজিরা কম। অনেক স্কুল ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু জেলা স্কুলে অন্য নিয়ম। ওদের ছুটি হয়নি।
ছুটির জন্য আবেদন নিবেদন জমা পড়েছে বিস্তর। কিন্তু হেডমাষ্টার ঘনশ্যাম দাস ছুটি মঞ্জুর করেননি। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সভায় পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সরকারী কোন নির্দেশ তো হাতে আসেনি। তাই ছুটি ঘোষণা করতে পারবো না আমি’।
অগত্যা শীতে কাঁপতে কাঁপতে স্কুলে এসেছেন শিক্ষক আর পড়ুয়ার দল। ক্লাশ নাইনের প্রায় সব ছাত্র-ছাত্রী হাজির। নবম শ্রেণীর ঘরে ঢুকে মাথার টুপিটা খুলে টেবিলে রাখলেন প্রতাপ স্যার। বোতাম আঁটা বুক টানটান করে ছাত্র-ছাত্রীদের মুখোমুখি দাঁড়ালেন।
দ্বিতীয় বেঞ্চের বাঁদিকে বসা ক্যারাটে চাম্পিয়ান ছটফটে ছাত্রীটি বলল, ‘স্যার আপনাকে দেখতে যোদ্ধাদের মত লাগছে’।
প্রতাপ স্যার কিছু বলবার আগেই সশব্দে হেসে উঠল গোটা ক্লাশ। মুচকি হাসলেন প্রতাপ রায়, রসায়নের শিক্ষক। ক্লাশ শান্ত হলে ধীরে ধীরে বললেন, ‘যোদ্ধাদের মত লাগছে! তাহলে আজ যুদ্ধের গল্প বলি। যদিও … যুদ্ধ করা ভালো নয় মোটেই।’
প্রথম বেঞ্চের ডান দিকে বসা লম্বা মেয়েটি কোটের পকেটে হাত ঢুকিয়ে বলল, ‘স্যার আজ তো অ্যালোট্রপি, মানে ‘বহুরূপতা’ পড়াবেন বলেছিলেন’।
-পড়াবো। আগে যুদ্ধের গল্পটা বলে নিই।’ স্পষ্ট উচ্চারণে বললেন রসায়ন-শিক্ষক।
-বলুন স্যার।’ গল্প শুনবার আগ্রহে পিঠ সোজা করে বসল ক্লাশের চল্লিশ জন শিক্ষার্থী।
একবার কেশে নিয়ে প্রতাপ স্যার যুদ্ধের গল্প শুরু করলেন, ‘দুশো বছর আগের কাহিনী। বিশ্ববিখ্যাত ফরাসী যোদ্ধা নেপোলিয়ান বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণ করেছেন। তার হাজারে হাজারে সুসজ্জিত সৈন্য চলেছে সমরে। সবার হাতে বন্দুক। পরনে দামী জ্যাকেট। উলের প্যান্ট। মাথায় পশমি টুপি। পায়ে চামড়ার ভারী বুট।
নেপোলিয়ানের পঞ্চাশ হাজার পরাক্রান্ত ফৌজ যুদ্ধের রসদ আর কামান বন্দুক নিয়ে জোর কদমে এগিয়ে চলেছে। যোদ্ধাদের মনোবল তুঙ্গে। কারণ কিছুদিন আগেই তারা ইটালিকে যুদ্ধে পরাজিত করেছে।’
একটু থামলেন প্রতাপ স্যার। ছেলে মেয়েদের মুখের দিকে তাকালেন। ক্লাশের সব চাইতে ডানপিটে ছেলে পলাশ উত্তেজনায় টান টান হয়ে দাঁড়িয়ে উঠল। একটা ঢোঁক গিলে বলল, ‘থামবেন না স্যার। তারপর কী হোল বলুন।’
-প্রবল শীত। প্রকৃতি প্রতিকূল। সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে রাশিয়া ভূখণ্ডের অনেক গভীরে ঢুকে পড়ল ফরাসী বাহিনী। তখন বোমারু বিমান আবিষ্কার হয়নি। ১৮১২ সালের ঘটনা। মানে ২১০ বছর আগে। কামান বন্দুক নিয়ে যুদ্ধ হত তখন। সেই অস্ত্র দিয়েই রাশিয়ার বিস্তৃত অংশ দখল করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছে ফরাসী বাহিনী।
তখন রাশিয়ার শাসক, জার আলেকজান্দার ১; জারের যুদ্ধ বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেনারেল মিখায়েল কুটুজভ। কুটুজভ ফরাসী আক্রমনে পিছু হটছে আর নেপলিয়ানের বিশাল বাহিনী, গ্র্যান্ডে আর্মি, রাশিয়া ভূখণ্ড দখল করতে করতে দুর্বার বেগে এগিয়ে চলেছে।
১৮১২ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর, এই সময় কাল। ফরাসী সেনা বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দু’জন জেনারেল। একজন নেপোলিয়ানের পালিত পুত্র ইউজিন আরেক জন ফরাসী যোদ্ধা জোসেফ ডেলজন।’
একটু থামলেন প্রতাপ স্যার। পেছনের বেঞ্চে একজন ছেলে দাঁড়িয়ে উঠল, ‘নেপোলিয়ানের বাহিনী তাহলে রাশিয়াকে ছারখার করে দিয়েছিল?’
-প্রায় দিয়েছিল, কিন্তু…।’ একটু হেসে প্রতাপ সার বললেন, ‘ইউজিন আর জোসেফ ডেলজনের নেতৃত্বে দুশ বছর আগে নেপোলিয়ানের সেনা যুদ্ধে হারিয়ে দিল রাশিয়াকে।’
-তারপর?’ জিজ্ঞাসু মুখ গুলো প্রশ্ন করল।
-তারপর অবিশ্বাস্য কাণ্ড। রাশিয়ার সৈন্যদল সিংহ বিক্রমে নেপোলিয়ান বাহিনীর ফিরে যাওয়ার পথ আটকে দাঁড়িয়ে পড়ল। তখন প্রচণ্ড শীত রাশিয়ায়। যুদ্ধ শুরু হয়েছিল জুন মাসের গরম কালে। কিন্তু কয়েক মাস পরেই প্রবল শীত নেমে এল রাশিয়ায়। তাপমাত্রা মাইনাস তিরিশ-চল্লিশ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রাশিয়া সেনাদের আক্রমণ আর প্রবল শীতে বেকায়দায় পড়ল ফরাসী বাহিনী। যদিও রাশিয়ার শীত মোকাবিলা করবার মত উপযুক্ত বস্ত্র ছিল ফরাসী সেনাদের কিন্তু যুদ্ধে রাশিয়ার মাটিতে লুটিয়ে পড়তে লাগল ফরাসী সেনা। মাত্র দশ হাজার জীবিত সৈন্য সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরতে পেরেছিলেন নেপোলিয়ান বোনাপার্ট।
-তারপর?’
-তারপর চল্লিশ হাজার সৈন্য হারিয়ে বিদ্ধস্ত হয়ে গেল নেপোলিয়ান-বাহিনী। শোচনীয় অবস্থা তাদের। পরাক্রান্ত ফরাসী বাহিনী তখন শক্তিহীন, দুর্বল। রাশিয়ার যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত নেপোলিয়ান বাহিনীকে আক্রমন করল বিরোধী পক্ষ। বিরোধী সেনাদের (ব্রিটিশ অস্ট্রিয়া রাশিয়া) আক্রমণে পরাজিত হল ফরাসী বাহিনী। নেপোলিয়ানের বাসনা ধূলায় লুটিয়ে পড়ল। ইউরোপ ভূখণ্ডের একচ্ছত্র সম্রাট হবার স্বপ্ন অধরা রয়ে গেল। বন্দী হলেন প্রবল পরাক্রান্ত নেপোলিয়ান বোনাপার্ট। শাস্তি হল তার। তাঁকে এল্বা দ্বীপে নির্বাসনে পাঠান হল।
-কেন এমন হল? শিক্ষিত শক্তিশালী ফরাসী বাহিনী হেরে গেল কেন? নেপোলিয়ানকে বহুবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছেঃ ‘pourquoi nous avons perdu la bataille de la Russie’ ‘রাশিয়ার যুদ্ধে আমরা হেরে গেলাম কেন?’ [pourquoi (why) nous (we) avons (have) perdu (lost) la bataille de (of) la (the) Russie]।
ছোট্ট জিজ্ঞাসা। দুই শতকে বিশ্বব্যাপী বহুবার উচ্চারিত এই প্রশ্ন আবার ধ্বনিত হল শ্রেণী কক্ষে। প্রশ্ন শুনে ছাত্রছাত্রীদের মুখের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন নির্বাক প্রতাপ স্যার। কিছুক্ষণ চুপ থেকে ধীরে ধীরে বললেন, ‘নেপোলিয়ানের শিক্ষিত, নিখুঁত অস্ত্র আর বস্ত্রে সুসজ্জিত সেনা বাহিনীর পরাজয়ের কারণ নিয়ে ঐতিহাসিকদের বহু মত। তবে রাজনীতি, সমরবিদ্যা ছাড়াও অন্য একটি মত পোষণ করেন অনেকে।’
-কী সেই মত, স্যার?
– সে মত…বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রসূত।
-বৈজ্ঞানিক মতটা কী স্যার?’ উদগ্রীব এক ছাত্র প্রশ্ন করল।
নিস্তব্ধ শ্রেনী কক্ষে ছাত্রছাত্রীদের মুখের দিকে তাকিয়ে কথা শুরু করলেন প্রতাপ স্যার।
-ফরাসী সেনাদের পোশাকের ত্রুটিই নাকি পরাজয়ের অন্যতম কারণ। রাশিয়ার প্রবল ঠাণ্ডায় ফরাসী সেনাদের ধাতুর তৈরি পোশাকের বোতামগুলো… গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গেছিল’।
কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী প্রায় একসাথে বলে উঠল উঠল, ‘অদ্ভুত ব্যাপার স্যার!’
-অদ্ভুত এবং ভয়ঙ্কর ব্যাপার। প্রবল ঠাণ্ডা, তাপমাত্রা মাইনাস তিরিশ-চল্লিশ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সেই অবস্থায় সেনাদের গায়ে বোতাম বিহীন গরম পোশাক! কী মারাত্মক অবস্থা। পরিণাম যা হবার তাই হল। প্রবল ঠাণ্ডায় বেঘোরে মারা পরেছিল চল্লিশ হাজার ফরাসী সেনা।’
-কেন স্যার? বোতামগুলো গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গেল কেন?
-কারণ, পদার্থের বহুরূপতা। আজ তো বহুরূপতা পড়ানোর কথা।
-মাথায় ঢুকল না কিছু। বুঝিয়ে বলুন স্যার।
-বোতাম গুলো ছিল টিন ধাতুর তৈরি। টিন মানে স্ট্যানাম (stannum), এস এন (Sn)। পঞ্চাশ আনবিক সংখ্যার এক মৌল।
-আরেকটু বুঝিয়ে বলুন স্যার।
-শোন। অসংখ্য পরমানু গঠন করে মৌলিক পদার্থ। যেমন সোডিয়াম মৌলে থাকে সোডিয়াম পরমানু। দুই বা তার বেশী মৌলিক পদার্থ যুক্ত হয়ে তৈরি হয় যৌগিক পদার্থ। মৌল বা মৌলিক পদার্থ, অনেকে বলেন, বস্তু-জগতে সরলতম। কিন্তু তেমন নয় মোটেই। কাঠকয়লা হীরে গ্রাফাইট সবই তো কার্বন মৌল। এদের রাসায়নিক ধর্ম এক। যেমন, কাঠকয়লা হীরে গ্রাফাইট এদের প্রত্যেকটির 12 গ্রাম অক্সিজেনে পোড়ালে (দহন) উৎপন্ন হবে 44 গ্রাম কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস। দহন শেষে কঠিন বা তরল কোনও অবশেষই থাকবে না।
রাসায়নিক ধর্ম এক হলেও এদের ভৌত ধর্ম – বর্ণ, গঠনের বৈচিত্র্য সবই ভিন্ন রকম। আশ্চর্য ব্যাপার, তাই না!
টিন ধাতুর ক্ষেত্রেও আছে তেমন ব্যাপার। অর্থাৎ কার্বনের মত টিনেরও আছে বহুরূপতা ধর্ম।
টিন বহু কাজের উপযোগী ধাতু। রূপার মত উজ্জ্বল। খুব দামী ধাতু। চীন, মালয়েশিয়া দেশে আছে টিনের মজুত ভাণ্ডার। টিন ধাতু দুই রকমের। অর্থাৎ টিনের আছে দুটো আলোট্রফ—আলফা টিন (গ্রে টিন) এবং বিটা টিন (হোয়াইট টিন)। আলফা টিন ভঙ্গুর আর বিটা টিন শক্ত। ঠাণ্ডায় বিটা টিন অন্যরকম হয়ে যায়। খুম কম তাপমাত্রায় বিটা অবস্থা বদল করে আলফা অবস্থায় চলে আসে। এই আলফা টিনের চরিত্র, মানে ভৌত ধর্ম আবার ভিন্ন রকমের। এটি নরম এবং ভঙ্গুর। টিনের শক্ত জিনিষ তাই প্রবল ঠাণ্ডায় গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যায়। এর আরেক নাম, ‘টিন প্লেক।’
নেপোলিয়ানের রাশিয়া ফেরত সেনাদের পোষাকে টিন প্লেকের অস্তিত্ব ধরা পরেছিল? বিজ্ঞানের ইতিহাসে ‘নেপোলিয়ানের বোতাম’ খুব চর্চার বিষয়। আধুনিক বিজ্ঞান জানিয়েছে রাশিয়ার মাইনাস 30 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় টিনের পরিবর্তন খুব স্বাভাবিক। শক্ত ধাতব টিন ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গিয়েছিল।
দুশো বছের আগে টিনের রোগ বা ‘টিন প্লেক’ জানা থাকলেও তার কারণটা অজানাই ছিল। এখন আমরা জানি, তের ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে খুব ধীরে হোয়াইট টিনের পরিবর্তন শুরু হয়। তাপমাত্রা কমলে পরিবর্তন ঘটে দ্রুত।’
একটু থেমে প্রতাপ স্যার আবার বললেন, ‘প্রাচীন কাল থেকেই টিনের ব্যবহার জানতো মানুষ। টিনের তৈরি বহু জিনিষ ঠাণ্ডায় খারাপ হয়ে যায়, তাও জানা ছিল। কিন্তু এর মুলে যে আছে টিনের বহুরূপতা, এ তথ্য মানুষ জানতে পেরেছে বিংশ শতাব্দীতে।
আর… ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়েছে ‘নেপলিয়ানের বোতাম’ সংক্রান্ত অনেক কাহিনী।’
কয়েক মুহূর্ত চুপ থেকে নিজের জ্যাকেটের বোতামে আঙুল ছুঁইয়ে প্রতাপ স্যার বললেন, ‘আমার জ্যাকেটের বোতাম কিন্তু পিতলের। জিঙ্ক আর কপার, মানে দস্তা আর তামা দিয়ে তৈরি ধাতুসংকর। এখানে কোন টিন নেই। টিন খুব দামী ধাতু তো!’
নিস্তব্ধ ক্লাশ রুম। হাতের ঘড়িতে চোখ বুলিয়ে প্রতাপ স্যার আবার বললেন, ‘অনেক মৌলেরই বহুরূপতা আছে। পরের ক্লাশে সে সব আলোচনা করবো। আজ এটুকুই।’
ভয়ঙ্কর এক যুদ্ধ আর বোতামের কাহিনী
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
ড.সৌমিত্র কুমার চৌধুরী, ভূতপূর্ব বিভাগীয় প্রধান ও এমেরিটাস মেডিক্যাল স্যায়েন্টিস্ট, চিত্তরঞ্জন জাতীয় কর্কট রোগ গবেষণা সংস্থাণ, কলকাতা-700 026.
প্রকাশিত গ্রন্থ- বিজ্ঞানের জানা অজানা (কিশোর উপযোগী বিজ্ঞান), আমার বাগান (গল্পগ্রন্থ), এবং বিদেশী সংস্থায় গবেষণা গ্রন্থ: Anticancer Drugs-Nature synthesis and cell (Intech)।
পুরষ্কার সমূহ: ‘যোগমায়া স্মৃতি পুরস্কার’ (২০১৫), জ্ঞান ও বিজ্ঞান পত্রিকায় বছরের শ্রেষ্ঠ রচনার জন্য। ‘চৌরঙ্গী নাথ’ পুরস্কার (২০১৮), শৈব ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত উপন্যাসের জন্য। গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য স্মৃতি পুরষ্কার (2019), পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও জৈবপ্রযুক্তি দফতর থেকে), পঁচিশ বছরের অধিক কাল বাংলা ভাষায় জনপ্রিয় বিজ্ঞান রচনার জন্য)।
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন