বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় সুন্দরবনে বনবিভাগের তিন মাসব্যাপী নিষেধাজ্ঞা চলছে। এর ফলে প্রকৃতির আপন গতিতে সুন্দরবন যেন নিজস্ব রূপে ফিরেছে।
গত ১ জুন থেকে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ও অভয়ারণ্যে পর্যটন এবং মাছ ধরার ওপর বনবিভাগের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। আগামী ৩১ আগস্ট এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে।
কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (আইআরএমপি) অনুসারেই এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী ও প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, “বিশ্বখ্যাত সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতি বছরই পর্যটন মৌসুমে দেশ ও বিদেশের পর্যটকরা ভিড় করেন। এখন সুন্দরবনে মানুষের পায়ের শব্দ এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকার শব্দ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “সুনসান নীরবতায় প্রকৃতি তার সৌন্দর্যকে নিজস্ব উপায়ে নতুন করে সাজানোর সুযোগ পেয়েছে। সুন্দরবনে এখন পাখির কলরব স্পষ্ট শুনতে পাওয়া যায় এবং বন্যপ্রাণীরাও নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াতে পারে।”
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, দীর্ঘদিনের নীরবতার কারণে সুন্দরবনে এখন সহজেই বিরল বন্যপ্রাণী দেখা যায়।
প্রতি বছর সুন্দরবনে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ভ্রমণ করে থাকেন। আর তাদের পরিবহনে ব্যবহার হয় প্রায় ২৫ হাজার নৌযান।