বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারেকুজ্জামান সানির মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১৫ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দোহার থানার কুতুবপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক শামসুল আলম আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- শরিফুল হোসেন, শাকিল আহমেদ, সেজান আহমেদ, মো. রুবেল, মো. সজিব, মো. নুরুজ্জামান, মো. নাসির, মো. মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন রিপন, মো. নোমান, মোহাম্মদ জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক ও রোকনুজ্জামান জিতু।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গ্রেপ্তার ১৫ জনের সবাই ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে আটকে রাখতে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতে পৃথক জামিন আবেদন জমা দিয়ে দাবি করেন, তাদের মক্কেলরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তবে, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক বাদীপক্ষের আবেদন নাকচ করে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৫ জুলাই ফায়ার সার্ভিস সানির মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাদী হয়ে দোহার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৪ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আসামিরা কৌশলে সানিকে হাজারীবাগের বাড়ি থেকে বের করে পদ্মা নদীর মৈনট ঘাটে বেড়াতে নিয়ে নদীতে ফেলে দেন। এরপর থেকে সানি নিখোঁজ ছিলেন। পরে আসামিরা এই হত্যাকাণ্ডকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখাতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন।
মামলার বিবরণীতে আরও বলা হয়, হত্যার উদ্দেশ্য পরিবর্তন এবং তাদের সম্পৃক্ততা গোপন করতে আসামিরা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের মরদেহ খুঁজে বের করতে সহায়তা করে।