দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গায় ১৩ জন বন্দি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ জুলাই) দেশটির সান্তো ডোমিঙ্গো শহরের একটি কারাগারে এই ঘটনা ঘটে।
ইকুয়েডরের কারা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাগারের সহিংসতার জন্য এলাকা নিয়ন্ত্রণ এবং মাদক পাচারের রুট নিয়ে গ্যাংদের মধ্যে লড়াইকে দায়ী করেছে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসোর রক্ষণশীল সরকার। গত বছর ইকুয়েডরের বিভিন্ন কারাগারে দাঙ্গায় ৩১৬ জন বন্দির প্রাণহানি হয়।
ইকুয়েডরের কারাগার সংস্থা এসএনএআই টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বলেছে, পুলিশ এবং সশস্ত্র বাহিনী কারাগারের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করছে। এর আগে ঘটনাটিকে তারা ‘বিরোধ’ বলে অভিহিত করেছিল।
সংস্থাটি বলেছে, ‘দুর্ভাগ্যবশত, দাঙ্গায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন বন্দি মারা গেছেন এবং দু’জন আহত হয়েছেন বলে কেন্দ্রের কর্মীরা রিপোর্ট করেছেন।’
যদিও হতাহতের চূড়ান্ত সংখ্যা অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
দক্ষিণ আমেরিকা থেকে মেক্সিকো হয়ে মাদকের যেসব চালান যুক্তরাষ্ট্র যায়, সেগুলোর প্রধান রুট হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে ইকুয়েডর। বিপুল ঝুঁকি এবং একই সঙ্গে প্রচুর অর্থ থাকায় এ কারণে ইকুয়েডরের বন্দর এলাকাগুলোতে প্রভাব বাড়ছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের, যারা কোনো না কোনোভাবে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত।
উল্লেখ্য, এলাকা নিয়ন্ত্রণ এবং মাদক পাচারের রুট নিয়ে কারাগারে বন্দি সন্ত্রাসীদের মধ্যেও বিরোধ কাজ করে থাকে। এ কারণে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে কারাগারে দাঙ্গার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।
গত বছর ইকুয়েডরের বিভিন্ন কারাগারে দাঙ্গায় ৩১৬ জন বন্দির প্রাণহানি হয়। আর গত মে মাসে সান্তো ডোমিঙ্গোর কারাগারে সহিংসতায় ৪৩ জন মারা যান।