ভূমিহীন ও গৃহহীন আরও ২৬ হাজার ২২৯ পরিবারকে ঘর উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২১ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাঁচটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে যুক্ত হয়ে এই ঘরগুলো হস্তান্তর করবেন তিনি।
সোমবার (১৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। এ দিন হস্তান্তরের মাধ্যমে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, ‘আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে ঘোষণা করতে যাচ্ছি, পঞ্চগড় ও মাগুরায় আর কোনও ভূমিহীন-গৃহহীন নেই। এটি আমাদের জন্য একটি বিশাল অর্জন। গত মাসে আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে আমাদের মনোবল আকাশচুম্বী হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের আনাচে কানাচে মানবতার ছোয়া পৌঁছে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শতভাগ বাস্তবায়ন করা গেছে বাংলাদেশের দুটি প্রত্যন্ত জেলা। সুতরাং উন্নয়নের ছোঁয়া এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে।’
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি যুক্ত হবেন ৫টি প্রকল্প এলাকার সঙ্গে। প্রকল্পগুলো হচ্ছে,
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরকলাকোপা আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা আশ্রয়ণ প্রকল্প, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চর ভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্প, পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাহান পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার জঙ্গালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি জমির মালিকানাসহ ৬৩ হাজার ৯৯৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ জুন জমির মালিকানাসহ ৫৩ হাজার ৩৩০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত মোট একক ঘর সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি। চলমান তৃতীয় পর্যায়ে মোট বরাদ্দকৃত একক ঘরের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮০০টি, যার মধ্যে গত ২৬ এপ্রিল হস্তান্তরিত হয় ৩২ হাজার ৯০৪টি এবং আগামী ২১ জুলাই হস্তান্তর হবে ২৬ হাজার ২২৯টি। এছাড়া আরও নির্মাণাধীন রয়েছে ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর।