অতিপ্রয়োজনীয় ২০টি জেনেরিকের ৫৩ ব্র্যান্ডের ওষুধের দাম বাড়িয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। শনিবার (১৬ জুলাই) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ও মুখপাত্র আইয়ুব হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী প্যারাসিটামলের ৫০০ এমজির প্রতিটি ট্যাবলেট ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে এক টাকা ২০ পয়সা। কিছু ওষুধের দাম ১০০% বেড়েছে। নিয়ম মেনেই ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বা (ডিজিডিএ)।
ডিজিডিএ”র মুখপাত্র আইয়ুব হোসেন বলেন, “প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য তালিকাভুক্ত ১১৭টি ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করতে পারে সরকার। ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল, প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল, পরিবহন ও ডিস্ট্রিবিউশন ব্যয়সহ নানা কারণে ওষুধের খরচ বেড়েছে। এসব কারণে ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে।”
আইয়ুব হোসেন বলেন, “ওষুধের দাম আচমকা বাড়ানো হয়েছে বিষয়টা এমন নয়। প্রাইজ পলিসি অনুযায়ী অনেকদিন ধরে দাম আপডেট করা হয়নি। ওষুধ কোম্পানিগুলোর দাম বাড়ানোর আবেদন ছিলো, বাজারে কিছু পণ্যের অ্যাভেইলেবিলিটি (প্রাপ্যতা) কম ছিলো তাই এগুলো অ্যাভেইলেবল করতে দাম আপডেট করা ছাড়া উপায় নেই। সবকিছু পর্যালোচনা করেই ওষুধ প্রশাসনের দাম নিয়ন্ত্রণ কমিটির পরামর্শক্রমে সরকার এ ওষুধগুলোর দাম আপডেট করেছে।”
নতুন দাম কার্যকর হয়েছে বলে জানান তিনি। এখন ওষুধ কোম্পানিগুলো কস্টিং অনুযায়ী আবেদন করে দাম নির্ধারণ করে নিতে পারবে।
গত ৩০ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ওষুধের মূল্য নির্ধারণ কমিটির ৫৮তম সভায় এসব ওষুধের পুনঃনির্ধারিত দাম অনুমোদন করা হয়। এর আগে ২০১৫ সালে কয়েকটি ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।
প্যারাসিটামলের ১০টি জেনেরিকের দাম বেড়েছে। মেট্রোনিডাজল ৬টি জেনেরিকের দাম বেড়েছে। মেট্রোনিডাজল ২০০ এমজি ট্যাবলেট কোটেডের আগে দাম ছিল ৬০ পয়সা, যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে এক টাকা। এমোক্সিসিলিন বিপি ৫০০ এমজি ইনজেকশনের আগের দাম ছিল ২৪ টাকা ১০ পয়সা, বেড়ে হয়েছে ৫৫ টাকা।
এছাড়া জাইলোমেট্রোজালিন, প্রোকলেপেরাজিন, ডায়াজেপাম, মিথাইলডোপা, ফ্রুসেমাইড, ফেনোবারাবিটাল, ওআরএস, লিডোকেইন, ফলিক এডিস, ক্লোরফেনিরামিন, বেনজাথিন বেনজিলপেনিসিলিন, এ্যসপিরিন ফেনোক্সিমিথাইল পেনিসিলিন, নরগেস্টেরেল, ফেরোস-এর দাম ৫০% থেকে ১০০% বেড়েছে।