চলতি বছরের এপ্রিলে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটককে প্রায় আট কোটি টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) তিনটি ফোন অপারেটরের কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা জরিমানা আদায় করেছে সংস্থাটি।
বিটিআরসি জানিয়েছে, গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের কাছ থেকে ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার পে-অর্ডার তারা বুঝে পেয়েছে। তবে সরকারি মালিকানাধীন টেলিটক জরিমানার টাকা দিয়েছে কি-না, সে বিষয়ে বিটিআরসি কিছু বলেনি।
বিটিআরসি জানায়, ভিওআইপিতে ব্যবহৃত সিম জব্দ করার পর গত এপ্রিলে চারটি মুঠোফোন অপারেটরকে মোট ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সবচেয়ে বেশি জরিমানা করা হয় টেলিটককে। যার পরিমাণ পাঁচ কোটি টাকা। এছাড়া রবিকে ২ কোটি টাকা, গ্রামীণফোনকে ৫০ লাখ ও বাংলালিংককে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১- এর ৬৫ (৫) ধারা অনুযায়ী, গত ১০ এপ্রিল কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুনানির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জরিমানা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধের জন্য চার অপারেটরকে ৭ জুন চিঠি দেয় বিটিআরসি।
এতে বলা হয়, পুরো টাকা ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিটিআরসি জানিয়েছে, ভ্যাটসহ ১২ জুলাই বাংলালিংক ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে। পরদিন ১৩ জুলাই গ্রামীণফোন ৫২ লাখ ৫০ হাজার এবং গতকাল রবি ২ কোটি ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে।
বিটিআরসির তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত সংস্থাটি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ ৪ অপারেটরের ৫২ হাজারের বেশি সিম জব্দ করে। সবচেয়ে বেশি সিম ৩২ হাজার ৮৪৫টি জব্দ হয়েছিল টেলিটকের। এরপর প্রক্রিয়া শেষে টেলিটককে প্রায় ১৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
এ জরিমানা মওকুফের আবেদন করে টেলিটক। পরে শুনানি শেষে জরিমানা কমিয়ে টেলিটকের জরিমানা পাঁচ কোটি টাকা ধার্য করা হয়।
রবির ১৬ হাজার ৩৯০টি, গ্রামীণফোনের ২ হাজার ৩৫৬ ও বাংলালিংকের ৭৫৩টি সিম জব্দ করা হয়েছিল। তাদেরও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জরিমানা করা হয়েছিল। শুরুতে রবিকে ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, গ্রামীণফোনকে প্রায় ৯৯ লাখ টাকা ও বাংলালিংককে ৩৩ লাখ টাকার কিছু বেশি জরিমানা করা হয়েছিল; পরে তা কমানো হয়।