নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে উত্তেজিত জনতা নড়াইলের লোহাগড়ায় স্থানীয় একটি বাজারের ৬টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে জানা গেছে। এ সময় তারা একটি মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ছাড়া ৪টি বাড়িঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ টাকাসহ স্বর্ণের গহনা লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, দিঘলিয়া গ্রামের সাহাপাড়ার অশোক সাহার ছেলে আকাশ সাহা ফেসবুকে নবী মুহাম্মদ-কে নিয়ে কটূক্তি করে। বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই এলাকাবাসী আকাশকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করে। পরে উত্তেজিত জনতা দিঘলিয়া বাজারের নিত্য দুলাল সাহা, অনুপ সাহা, অশোক সাহা, সনজিদ সাহার মুদি দোকান এবং গোবিন্দ কুণ্ডু ও গৌতম কুণ্ডুর মিষ্টির দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
https://www.facebook.com/samoyiki/videos/740697363921331এ ছাড়াও সাহাপাড়ার গৌরসাহা, চায়না রানী সাহা, বিপ্লব সাহার বাড়িঘর ও আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ এবং স্বর্ণলংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। তারা নাড়ূ গোপালের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং লুটপাট করে। উত্তেজিত জনতা রাত ৯টার দিকে আখড়াবাড়ী সার্বজনীন পূজামণ্ডপে আগুন ধরিয়ে দেয়।
লোহাগড়া থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। রাত সাড়ে ৯টার নাগাদ র্যাব-৬ এর একটি দল এবং নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর রায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
লোহাগড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নারায়ণ চন্দ্র পাল জানান, দিঘলিয়া বাজারের এক ব্যবসায়ীর ছেলে ফেসবুক আইডি থেকে ধর্ম বিষয়ে বিতর্কিত পোস্ট দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতাকে প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কেউ বিতর্কিত পোস্ট দিলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে, এ বিষয়ে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
https://www.facebook.com/samoyiki/videos/587439636063559বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। লোহাগড়ার ইউএনও আজগার আলী জানান, অভিযুক্ত আকাশ পলাতক থাকায় তার অবস্থান জানার জন্য তার বাবাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।