পদ্মা সেতুসহ সকল সড়ক-মহাসড়ক-সেতুতে বাইকের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং পৃথক বাইক লেনের দাবিতে বাইকার সমাবেশ ১৫ জুলাই শুক্রবার বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেভ দ্য রোড-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল মল্লিক, এম এইচ সোহেল, মো. রাসেল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা বলেন, উন্নত বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, আমাদের দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল মনে করছে উন্নত দেশগুলো। এমন পরিস্থিতিতে উন্নত দেশগুলোর মত বাইক লেন এখন সময়ের দাবি। এই দাবি বাস্তবায়ন হলে সড়কপথে দুর্ঘটনা যেমন কমবে, তেমন বাংলাদেশে সড়কপথ হবে বিশ্বের আদর্শ সড়ক ব্যবস্থা। আর এই কাজটি করার জন্য বেশি ব্যয়ও করতে হবে না। এসময় সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা তার বক্তব্যে বলেন, বাইক চালনার উপকারিতা অনেক। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বাইক চালালে হাটু মজবুত থাকে, বাতাসের বিপরিতে বাইক চালানোর কারনে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি কমে যায়, এন্ড্রোরফিনস শরীর থেকে বের হয়ে মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখে। এমন অনেক কারণেই বাইক চালানোর জন্য অনুপ্রাণিত করা আমাদের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব থেকেই বলছি- অনতি বিলম্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল-এর ধারায় টিকিয়ে রাখতে পথ দুর্ঘটনারোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। সিসিটিভি, স্পিডগান স্থাপনের মত বিষয়গুলোকে বাস্তবায়ন করতে হবে। বাইক নিষিদ্ধ তো দূরের কথা, এখন যত দ্রুত সম্ভব বাইকের জন্য পৃথক লেন বাস্তবায়নের পাশাপাশি সড়কপথকে দুর্ঘটনামুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ এবং এই নির্দেশনা না মানলে কঠোর শাস্তি ঘোষণা করতে হবে।
আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত রাখার লক্ষ্যে দেশের একমাত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য রোড-এর এই দাবি বাস্তবায়নে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কোন উদ্যেগ গ্রহণ না দেখলে পরবর্তীতে আরো কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান নেতৃবৃন্দ।