গত বছরের জুন মাসের তুলনায় চলতি বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি হার দাঁড়িয়েছে ৯.১ শতাংশ। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গত ৪০ বছরের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির এ হার সর্বোচ্চ। জুন মাসের জন্য অর্থনীতিবিদদের প্রাক্কলন ছিল মুদ্রাস্ফীতির হার হবে ৮.৮ শতাংশ। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এ হার সে প্রাক্কলনকেও ছাড়িয়ে গেছে।
কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স থেকে দেখা যাচ্ছে, কোনো একটি পণ্য বা সেবার জন্য ভোক্তাকে মে মাসের তুলনায় জুন মাসে ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি খরচ করতে হয়েছে। অর্থাৎ মে মাসের সাপেক্ষে জুন মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩।
এ মুদ্রাস্ফীতির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে পেট্রোলের দাম; বছরের ব্যবধানে যা প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। গত মাসে দেশটিতে গ্যাসের দাম নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। এক গ্যালন পেট্রোলের দাম গড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ মার্কিন ডলার। ১ বছরের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ১৩.৭ শতাংশ এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য বেড়েছে ৩৮.৪ শতাংশ। সব মিলিয়ে বছরের ব্যবধানের জ্বালানির মূল্য বেড়েছে ৪১.৬ শতাংশ।
তবে দুধ, ডিম, মাখন, মুরগি থেকে শুরু করে কফির দাম পর্যন্ত সবখানেই এর প্রভাব পড়েছে।
মুদ্রাস্ফীতির এ হার অপ্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার ওপরই এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে তার প্রশাসন।
সূত্র : সিএনএন।