নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পিকআপ ভ্যানের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
রোববার (১০ জুলাই) ভোরে উপজেলার ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সেতুভাঙা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন অটোরিকশার চালক ও বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেম হোসেন হৃদয় (২১)। নিহত অটোরিকশার দুই যাত্রী হলেন জেলার হাতিয়া উপজেলার হরনী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের মো. সোহেল (২২) এবং একই গ্রামের আমজাদ হোসেন (২৮)। এ ছাড়া অপর যাত্রী বেগমগঞ্জের বাসিন্দা ফোরকান উদ্দিন আহত হন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মৃদুল কান্তি কুরি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে সোহেল ও আমজাদ ফেনীর একটি হোটেলে কাজ করতেন। শনিবার গভীর রাতে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে হৃদয়ের অটোরিকশায় ওঠেন সোহেল, আমজাদ ও ফোরকান উদ্দিন। রোববার ভোর ৪টার দিকে তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সেতুভাঙা বাজার এলাকায় পৌঁছালে চৌমুহনী থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি পিকআপ ভ্যানটি তাদের অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে সড়কে ছিটকে পড়লে ঘটনাস্থলে চালক হৃদয় ও যাত্রী সোহেল মারা যান।
আহত আমজাদ ও ফোরকানকে উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমজাদকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
হাতিয়ার হরনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আখতার হোসেন বলেন, বেগমগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সোহেল ও আমজাদের মরদেহ সকাল ১০টায় হাইওয়ে পুলিশ বুঝিয়ে দিয়েছে। আজ জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ওসি মৃদুল কান্তি কুরি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। হাতিয়া উপজেলার নিহত দুজনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরেকজন ঢাকায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ আসলে সুরহাতাল প্রস্তুত করে পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।