পবিত্র ঈদ-উল-আজহার দিন রাত ১০টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে জাইকার কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইউহো হায়াকাওয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, “ঈদের দিন সকালে পশু কোরবানি দেওয়া শুরু হবে। এরপর থেকেই পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজ শুরু হবে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে সব জায়গা থেকে বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।”
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী বলেন, “কোরবানির পশুর হাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসহ দেশবাসীকে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করা হয়েছে। সভায় প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের যে দায়িত্ব সেটি পালনের জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট এবং ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন তৈরি করা আছে। সেটা অনুযায়ী, তারা পশুর হাট বসাবে। হাটে কেনাবেচার জন্য যারা আসবেন, তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। রাস্তার পাশে কোথাও হাট বসবে না।”
তাজুল ইসলাম বলেন, “আমার একটা নির্দেশনা আগে থেকেই ছিল- প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ১০ জনের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা। এই কমিটি করোনাভাইরাসসহ যেকোনো দুর্যোগে কাজ করবে। সিটি করপোরেশনগুলো সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে, বলে আমাদের জানিয়েছে।”