বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। বুধবার (০৬ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খুরশিদ আলম জানিয়েছেন, মাঝরাতে ছাত্রদের দুই গ্রুপ মারামারি করেছে। খবর পেয়ে রাতেই তাদের শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। আজ উভয় পক্ষকে নিয়ে বসব। আশা করি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার নগরীর কলেজ এভিনিউ এলাকায় মেসে বসবাসকারী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র রাইদুল ইসলাম নিরবকে মারধর করে স্থানীয়রা। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী সন্ধ্যার আগে কিছু সময়ের জন্য ঢাকা-কুয়াকাটা সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়।
এদিকে এই ঘটনায় নেতৃত্বের স্বীকৃতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী অনুসারী অমিত হাসান রক্তিম এবং সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অনুসারী আহমেদ সিফাত গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
অমিত হাসান রক্তিম জানান, ঘটনার সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না।
তবে মেয়র অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ রুম্মান ইসলাম জানান, যারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তারা আমাদের চেয়েও জুনিয়র। সত্যি কথা বলতে আমরাও বুঝতে পারছি না ওরা কেন এভাবে আমাদের ওপর হামলা চালালো। এর সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। মঙ্গলবার বিকেলে আন্দোলনের নেতৃত্বের স্বীকৃতির প্রসঙ্গ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ওখানে কোনো ভাগাভাগি ছিল না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে সবসময় আমরা গিয়ে দাঁড়াই। কিন্তু রাতে কোনো কারন ছাড়াই ওরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
জানা গেছে, মারামারিতে প্রতিমন্ত্রী অনুসারী ছাত্রলীগের দুইজন এবং মেয়র অনুসারী ছাত্রলীগের চারজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে সোমবার মেয়র অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ রুম্মান ইসলাম শের-ই-বাংলা হলের বাসিন্দা মাহামুদ দোলনকে ডেকে নিয়ে মারধর করে বলে জানা গেছে।