স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই যানবাহনের চাপ কমেছে দেশের অন্যতম নৌ-রুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায়।তাই এবার ঈদ যাত্রায় স্বস্তি ফিরবে ঘরমুখো মানুষের। কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই নৌরুট ব্যবহার করে মানুষ বাড়ি ও কর্মস্থলে ফিরতে পারবে। ঈদ উপলক্ষে নৌরুটে চলবে ২১টি ফেরি ও ২২টি লঞ্চ।
জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যাতায়াতের আরেকটি মাধ্যম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। এই নৌরুট দিয়ে আগে প্রতিদিন ৭/৮ হাজার যানবাহন ও কয়েক হাজার যাত্রী পারাপার হতো। তখন প্রতিদিনই ঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজট লেগে থাকত। এমনকি গত বছরগুলোতে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হতো। ফেরি পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে যানবাহন আটকে থাকত।
কিন্তু পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই পাল্টে গেছে ঘাটের চিত্র। এখন যানবাহনগুলোকে আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠে যেতে পারছে। ফলে সুফল পেতে শুরু করেছে এই অঞ্চল দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষ।
ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহায় অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামাল দিতে এবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করবে ২১টি ফেরি ও ২২টি ছোট-বড় লঞ্চ। প্রয়োজনে আরও একটি ফেরি বাড়ানো হবে। মূলত ঈদযাত্রায় যেন কোনো ভোগান্তি না হয়, সে বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে আসা ঢাকাগামী ট্রাকের চালক সবুজ প্রামাণিক বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এর সুফল পেতে শুরু করেছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ ব্যবহারকারী যাত্রী ও যানবাহন। ঘাটে যানবাহনের চাপ কম থাকায় আমাদের ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। ঘাটে এসেই আমরা ফেরির নাগাল পাচ্ছি।
পাটুরিয়া ঘাট থেকে আসা উজ্জ্বল শেখ নামে এক যাত্রী বলেন, প্রতিবার ঈদের আগে ঘাটে অনেক ভিড় থাকত। এবার চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। ঘাটে কোনো ভোগান্তি নেই। পাটুরিয়ায় এসে আমি সরাসরি ফেরিতে উঠতে পেরেছি। এবার ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মো.খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঈদের সব প্রস্তুতি আমাদের সম্পূর্ণ। এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলবে ২১টি ফেরি। বর্তমানে প্রতিদিন ১৭-১৮টি করে ফেরি চলছে। বাকি ফেরিগুলো মেরামতে রয়েছে। ঈদের আগেই তা বহরে যুক্ত হবে। এছাড়া পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই এই রুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কম। তাই এবার কোনো ভোগান্তি ছাড়াই ঈদে ঘরমুখো মানুষ বাড়ি ফিরতে পারবে।