বাংদেশের ইতিহাসে বিদায়ী অর্থবছরে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ৫২ দশমিক শূন্য ৮ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি অর্জন হয়েছে রপ্তানি আয়।
রবিবার (৩ জুলাই) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ইপিবির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৪৩ হাজার ৫০০ মিলিয়ন (৪ হাজার ৩০০ কোটি ৫০ লাখ) ডলার। অর্জন হয়েছে ৫২ হাজার ৮২ মিলিয়ন (৫ হাজার ২০৮ কোটি ২৬ লাখ) ডলার। এরমধ্যে শুধু জুন মাসেই ৩ হাজার ৬৩৮ মিরিয়ন ডলারের বিপরীতে অর্জন হয়েছে ৪ হাজার ৯০৮ মিলিয়ন ডলার। অর্জন বেশি হয়েছে ৩৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। একই সঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি আয় হয়েছে ৩৭ দশমিক ১৯ শতাংশ্ কারণ ওই সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিলো ৩ হাজার ৫৭৭ মিলিয়ন ডলার।
ইপিবির তথ্য মতে, তৈরি পোশাকখাতে বেশি করে রপ্তানি আয় হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি অর্জন হয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরে (২০২১-২২) তৈরি পোশাকশিল্প খাতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৩৫ হাজার ১৪৪ মিলিয়ন (৩ হাজার ৫১৪ কোটি ৪০ লাখ) ডলার। আয় হয়েছে ৪২ হাজার ৬১৩ মিলিয়ন (৪ হাজার ২৬১ কোটি ৩১ লাখ) ডলার। অর্জন বেশি হয়েছে ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ। একই সঙ্গে আগের অর্থবছরের চেয়ে বেশি অর্জন হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। কারণ ওই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৩১ হাজার ৪৫৭ মিলিয়ন (৩ হাজার ১৪৫ কোটি ৬৭ লাখ) ডলার। এরমধ্যে ওভেন খাতেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জন হয়েছে।
গ্লাসসহ বিভিন্নখাতেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি আয় হয়েছে। তবে হিমায়িত চিংড়ি, চা, সাকসবজি, শোবিজসহ কিছুখাতে নেতিবাচক অর্জন অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম অর্জন হয়েছে। তারপরও সারা বছর ধরে মোট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছরে রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাগিয়ে গেছে।