একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক যুদ্ধাপরাধী কে এম আমিনুল হক ওরফে রজব আলীকে (৬২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (২ জুন) রাতে রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বঘোষিত আল বদর নেতা রজব আলীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের আলীনগরে। তার বিরুদ্ধে একাত্তরে অষ্টগ্রাম থানা এলাকায় গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটের অভিযোগ প্রমাণিত হয় ট্রাইব্যুনালে।
২০১৮ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই মানবতাবিরোধী অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এর আগে থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুসারে, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার আলীনগর গ্রামের রজব আলী ১৯৭০ সালে ভৈরব হাজী হাসমত আলী কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় ইসলামী ছাত্র সংঘের কলেজ শাখার সভাপতি হন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভৈরবে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে তিনি অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন এবং পরে এলাকায় ফিরে আল বদর বাহিনী গঠন করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে আটক হয়েছিলেন রজব। ১৯৭২ সালে তার বিরুদ্ধে দালাল আইনে তিনটি মামলা হয়েছিল, যাতে তার যাবজ্জীবন সাজা হয়। কিন্তু দালাল আইন বাতিলের সুযোগে ১৯৮১ সালে রজব ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন। পরে ‘‘আমি আল বদর বলছি’’ নামে একটি বই তিনি প্রকাশ করেন।
ওই বইয়ে রজবের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগের আত্মস্বীকৃতি রয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়।