মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় আফ্রিকায় জরুরি সতর্কতা জারি প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে অঞ্চলটির কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আরব নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকায় মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়েছে। মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার কিছু অংশে মানুষ আক্রান্ত হলেও নির্ণয়ের অভাবে তা জানা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত সেখানে আঠারশোরও বেশি মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছেন ৭০ জন।
আফ্রিকার কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আহমেদ ওগওয়েল বলেন, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব এখন জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতিতে রয়েছে। ফলে এটি নিয়ন্ত্রণে আমাদের সেভাবেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর আগে গত সপ্তাহে ডব্লিউএইচও এক জরুরি সভায় মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। যদিও সংস্থাটি বিশ্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেনি।
এক সতর্ক বার্তায় সংস্থাটি জানায়, এই রোগটি যদি আরও ছড়িয়ে পড়তে থাকে ও এতে নারী এবং শিশুরাও আক্রান্ত হয়ে পড়ে সেই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে।
মার্কিন কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, বিশ্বের ৫১টি দেশে ৫ হাজারের বেশি মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে। এর বেশিরভাগই ইউরোপে। তবে আফ্রিকার বাইরে মৃত্যুর খবর মেলেনি।
আফ্রিকার মধ্যেও সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা, ঘানা ও মরক্কোতে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও মহাদেশের ৯০ ভাগের বেশি সংক্রমিত হয়েছে কঙ্গো ও নাইজেরিয়ায়।
ডব্লিউএইচওর আফ্রিকার পরিচালক ড. মোয়েতি মাতশিদিসো বলেন, মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যে ব্যবহৃত গুটিবসন্তের ভ্যাকসিন অনেকের কাছেই মজুত রয়েছে। সেটা যদি বিনিময় করা হতো, তাহলে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসতো।
আফ্রিকায় ডব্লিউএইচওর জরুরি অবস্থা নিয়ন্ত্রণ দলের প্রধান ফিওনা ব্রাকা বলেন, অনেকের কাছেই সহায়তার সুযোগ রয়েছে। তবে কেউই হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে না।
আফ্রিকায় বন্য প্রাণী ইঁদুর বা এজাতীয় কোনো প্রাণী থেকে মাঙ্কিপক্স প্রথম মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।