আজ নয়
প্রতিদিন আমার কলম থেকে
ঝরে পড়ে অজস্র দুপুর,
বিকেল দাঁড়ায় এসে দরজায়
এখন বারন্দায় নামার সময়
ভাঁজ ভাঙা পথ চোখের সামনে
ধুলো মাঠ বিকেলের আজ নয়, আজ নয়
তার আসার এখন হয়েছে সময়।
আর্জি
যৎসামান্য নিঃশ্বাস আজ আমাকে দাও
রাখো ঠোঁট দুঃসাহসী ঠোঁটে
গোপনীয়তা বড় মধুময় রক্তে রক্তে ছোটে
বিষেই ভরেছে আকন্ঠ সন্তাপ এবার ফিরিয়ে নাও।
বর্ষা
ভেতরে বাইরে তুমুল বৃষ্টি
তবু রোজ জোগাড় করে আনি জ্বালানি
আগুন জ্বলে ওঠে শরীরে শরীর ঘষে
তোমার চোখে চোখ পড়া মাত্রই
রাতের মশাল জ্বলে ওঠে
পাগল শিখা হাতড়ে মরে তোমায়
পুড়ে পুড়ে হয়ে যাই ভষ্ম
এই দুরন্ত বর্ষায়।
যে ভাবে আমি
মেঘের গুহায় ঢেলে দিয়েছি হৃদয়
ভেতরে আমার কুয়াশার অঢেল জটা
তোমার শূন্য দুহাতে আকাশ করবো পূর্ণ
ডাক দিয়ে যায় উদাস পাগল সুর
ভাঙতে থাকে হাতের কাঁকন, ছিঁড়তে থাকে বাঁধন
ঢেকে দিচ্ছি কবিতা দিয়ে দৈন্যতার সব চাদর।
প্রকৃতি
আকাশ রাঙা করে আসে বাসনার বিদ্যুৎ
ছিন্ন হয়ে যায় চরিত্র মেঘ
প্রভুত আবেগপুঞ্জ জমা হয় চেতনার কোটরে
বৃষ্টি করে দেয় আলুথালু প্রকৃতির সুখ
দুঃখ কেঁপে কেঁপে ওঠে দুর্বলের মতন
প্রেমের বিকীর্ণ শাখায় জেগে ওঠে পরিপূর্ণ মুখ।
অস্থির
ঝড় উঠেছে এপার ওপার করা
নিঝুম নির্জন অন্ধকার সন্ধ্যা
অজস্র নিঃসঙ্গতা তুমি তুলে ধরো
মেঘের মতন ঠান্ডা শরীর
চাঁদের মতই বিবর্ণ
প্রকান্ড আকাশ কেঁপে উঠছে
আকাঙ্খার অসহ্য আক্ষেপে
মুখে জেগে উঠেছে সাদা পাথর আর্তনাদের
প্রার্থনার অজস্র আঙুল ক্ষীণ হয়ে আসছে
অন্ধকার হাওয়ার মধ্যে বিদ্যুতের ঝিলিক তীব্র
তোমার পায়ের কাছে ভালোবাসার দুরন্ত ঢেউ
ফেটে পড়তে চাইছে, অস্থির করে তুলছে ভেতর
মাঝখানে নিঃসিম ব্যবধান
দীর্ঘ প্রত্যাশার মতন বিশীর্ণ বিক্ষুদ্ধ আকাশ
প্রার্থনায় অবসন্ন ব্যকুল ক্লান্ত চুপ মাটি
দুঃসহ বজ্র হয়ে ভেঙে পড়ছে আকাঙ্খার অজস্র বাজনা।