সম্প্রতি গুজরাটের নভসারি জেলার এক দিনমজুর তাঁর নিজের ঘুমন্ত ছেলেকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে কয়েক টুকরো করে ফেললেন। কারণ, বাবার নাকি অনেকদিন আগেই সন্দেহ হয়েছিল, তাঁর ছেলে তাঁর পকেট থেকে প্রায়ই টাকা চুরি করে এবং তার থেকেও বড় কথা, মাঝরাতে হিসি পেলেই বাথরুমে না গিয়ে, ঘরের সামনের ফুলের টবেই প্রস্রাব করে। তাই তিনি রেগে গিয়ে তাঁর দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছেলেকে কুড়ুল দিয়ে একের পর এক কোপ মেরে খুন করেছেন।
মৃতের মায়ের নাম চঞ্চলবেন প্যাটেল। তিনি নভসারি জেলার খেরগাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, সকাল ৬টা নাগাদ তিনি রান্নাঘরে রান্না করছিলেন। সেই সময় তাঁর স্বামী জেগে থাকলেও বিছানাতেই শুয়ে ছিলেন।
তাঁদের ১৯ বছরের ছেলে সাহিল তাঁর পাশেই ঘুমোচ্ছিল। হঠাৎ তিনি ঘর থেকে বিকট আর্তনাদ শুনতে পান। দৌড়ে গিয়ে দেখেন, তাঁর ছেলের শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তাঁর স্বামীর হাতে কুড়ুল এবং সেই কুড়ুল দিয়ে কাঠ কাটার মতো তিনি তাঁর ছেলের গলায় একের পর এক কোপ মারছেন।
এই দৃশ্য দেখে তিনি স্বামীকে থামানোর জন্য স্বামীর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু তাতেও তিনি ক্ষান্ত না হওয়ায় উন্মাদের মতো দৌড়ে বাড়ির বাইরে গিয়ে চিৎকার করে লোক জড়ো করতে থাকেন। ছুটে আসেন পাড়া প্রতিবেশীরা। অ্যাম্বুলেন্সও ছুটে আসে ফোন করা মাত্রই। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিত্সকরা সাহিলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পাশাপাশি মৃতের মা আরও জানান, ছেলেকে হত্যার পর তাঁর স্বামী মেঝেতে চুপ করে বসেছিলেন। কোনও কথার উত্তর দিচ্ছিলেন না। তার পর পুলিশের কাছে তিনি বলেছেন, ছেলে টবে প্রস্রাব করেছিল বলে তিনি অত্যন্ত রেগে যান। আর সেই রাগের চোটেই তিনি হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে এই হত্যাকাণ্ডটিই ঘটিয়ে ফেলেছেন।#