ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গার মধ্যে ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর।
সওজের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান বলেছেন, “ঢাকা ও ফরিদপুরের ভাঙ্গার মধ্যে ৫৫ কিলোমিটার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে ইতিমধ্যে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করার একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”
বুধবার (২৯ জুন) তেজগাঁওয়ে সওজের সদর দপ্তরে মহাসড়কের টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
সওজের প্রধান প্রকৌশলী বলেন, তবে মূল চার লেনের মহাসড়কের বাইরে দুই পাশের সড়কে (সার্ভিস লেন) মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার পর দ্রুতগতির মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
মহাসড়কটির টোল আদায়ের দায়িত্ব পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন। তারা মহাসড়কের রক্ষণাবেক্ষণ, যানবাহন থেকে টোল আদায়, যানবাহনের আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে।
২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ভোরে যান চলাচল শুরু হয়। প্রথম দিনেই মোটরসাইকেলের কারণে সেতুতে যানজট তৈরি হয়। পরে সন্ধ্যায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। পরদিন ২৭ জুন থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে প্রতিনিয়ত। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ সব মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। তবে এই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।