চাঁদপুরের হাইমচরে কৃষিজমিতে বিষ প্রয়োগে অর্ধশতাধিক ঘুঘু পাখিকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে হাইমচর উপজেলার ৩ নম্বর আলগী দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চরপোড়ামুখী গ্রামের ফসলের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
চরপোড়ামুখী গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানিয়েছেন, ধানক্ষেতে আসায় বিষ প্রয়োগ করে অর্ধশতাধিক ঘুঘু হত্যা করেছেন কৃষক আলী উকিল। স্থানীয় লোকজন মৃত ঘুঘুগুলোকে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে ঘুঘুসহ অন্যান্য পাখি প্রায় বিলুপ্তির পথে। গ্রামাঞ্চলের ফসলের মাঠে, ধানের বীজতলা, গম, ডাল ও সয়াবিন চাষের সময় ঘুঘুসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়। তবে এখন আর আগের মতো বেশি পাখি দেখা যায় না।
বিশেষ করে আমন ধানের বীজতলা এবং ধান রোপণ করলে ঘুঘুসহ নানা প্রজাতির পাখি আসে। সেগুলোও বিষ প্রয়োগে হত্যা করেন কিছু অসচেতন কৃষক। এ নিয়ে কৃষি বিভাগসহ স্থানীয় প্রশাসনকে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করা প্রয়োজন। অবিলম্বে পাখি হত্যা বন্ধের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে ধানক্ষেতের মালিক কৃষক আলী উকিলের কাছে জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কেবা কারা আমার ধানক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করেছে, তা জানা নেই। আমাকে ফাঁসানোর জন্য কেউ হয়তো ধানক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করেছে। অথবা অন্য ক্ষেতে মারা যাওয়া ঘুঘুগুলোকে আমার ক্ষেতে ফেলে গেছে।
উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন কাজী বলেন, আমরা বন্যপ্রাণী আহত কিংবা আক্রান্ত হলে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। তবে ফসলি জমিতে পাখি হত্যা করা হলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না। এটি কৃষি বিভাগের আওতায় পড়ে, তারাই ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, বিষ প্রয়োগ করে পাখি হত্যা শুধু অপরাধই নয়, পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ঘটনাটি আমাদের জানা নেই। তবে যারা এ অমানবিক কাজ করেছে, আমরা খোঁজখবর নিয়ে কৃষক দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।