চালু হলো কলকাতা-ঢাকা বাস পরিষেবা। বাস যাবে বাংলাদেশের নতুন পদ্মা সেতুর ওপর দিয়েই। কলকাতা থেকে বাংলাদেশের ঢাকা পর্যন্ত বাস যাত্রার সময় কমবে প্রায় চার ঘণ্টা। ২ বছর ৪ মাস আগে করোনার কারণে কলকাতা-ঢাকা যাত্রীবাহী বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার থেকে ফের চালু হলো এই যাত্রী পরিষেবা। আর পদ্মা নদীর ওপর দিয়েই ছুটবে সৌহার্দ্য।
শ্যামলী যাত্রী পরিবহন সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতার কিড স্ট্রিট থেকে এই বাস ছাড়ে। তবে সল্টলেকের করুণাময়ী বাস টার্মিনাল থেকে এই যাত্রীবাহী বাস যাতায়াত করবে। কলকাতা-ঢাকা মধ্যে যাত্রীবাহী বাস চালু করার অনুমতি পাওয়ায় ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের সহায়তায় সৌহার্দ্য নামের এই বাস পরিষেবা আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
প্রতি সোম, বুধ ও শুক্রবার সকাল সাতটায় এই বাস সল্টলেকের করুণাময়ী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়বে। আবার ঢাকা থেকে এই বাস মঙ্গল, বুধ ও শুক্রবার ছাড়বে কমলাপুরের বিআরটিসি বাস টার্মিনাল থেকে। কলকাতা-ঢাকার বাসভাড়া ১ হাজার ৪০০ রুপি।
ইতোমধ্যে বেসরকারি উদ্যোগে চালু হয়েছে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলার মধ্যে বাস চলাচলও। এই বাস কলকাতা থেকে সোম, বুধ ও শুক্রবার করুণাময়ী বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়বে দুপুর পৌনে ১২টায়। আর আগরতলা থেকে ছাড়বে পরের দিন বিকেল চারটের সময়। কলকাতা-আগরতলার ভাড়াও আগের মতোই ১ হাজার ৮০০ রুপিই থাকছে।
কলকাতা থেকে তিন দিন অর্থাৎ মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার এই রুটে বাস চালাবে বাংলাদেশের বিআরটিসি। উভয় পরিবহন সংস্থাই রবিবার বন্ধ রাখবে এই বাস পরিষেবা।
বাংলাদেশের যাত্রী ফারুক মণ্ডল বলেন, এই বাস পরিষেবা বন্ধ থাকায় প্রচুর সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ীদের। বাস চালু হওয়ায় দুই দেশের সম্প্রীতি ফের বাড়বে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।