যুক্তরাজ্যে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, যেহেতু বিচার ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য চ্যাম্পিয়ন, তারা ১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া কথা বিবেচনা করতে পারে।
রবিবার (২৬ জুন) রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের সাইডলাইনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রসকে এ প্রস্তাব দেন ড. মোমেন।
কিগালিতে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমও উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রস রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের উদার আতিথেয়তাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “যদি যুক্তরাজ্য এটির দিকে নজর দিতে পারে, তবে রোহিঙ্গা সংকটের সর্বোত্তম সমাধান হবে তাদের স্বদেশে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা।”
লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ট্রাসকে অবহিত করেছেন যে, মিয়ানমার সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অভাবে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী সঙ্কট ও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
৭০ ও ৯০-এর দশকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ওই সময়ে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল বলে তারা ফেরত গিয়েছিল।”
মিয়ানমারের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্রিটিশ সরকারের উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রাস রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে যুক্তরাজ্যের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে আশ্বাস দেন যে, আসিয়ান ও এর সহযোগী জি৭ দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াবে।
ড. মোমেন বলেন, “যুক্তরাজ্য গত তিন বছরে মিয়ানমারে ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে এবং ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য করেছে। তাদেরও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।”
বাংলাদেশ থেকে কম-সংখ্যক শিক্ষার্থীর যুক্তরাজ্যে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্রিটিশমন্ত্রী। এ সময় আব্দুল মোমেন বলেন, “এখন যুক্তরাজ্য কম-সংখ্যক ভিসা ইস্যু করছে।” তিনি শিক্ষার্থী ও বিজনেস ভিসা ঢাকা থেকে দেওয়ার অনুরোধ করেন।