যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর পদ্মা সেতু দিয়ে সবচেয়ে বেশি পার হওয়ার তালিকায় ওপরের দিকে ছিল মোটরসাইকেল। তবে প্রথম দিনেই বেশ কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সেতু বিভাগ।
রবিবার (২৬ জুন) তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
তবে এতে বিপাকে পড়েছেন জরুরি কাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়া মোটরসাইকেল চালকরা। মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য ফেরির ব্যবস্থা রাখা হলেও ফেরি পাচ্ছেন না তারা। এ কারণে ঘাট থেকে ফিরে এসে পিকআপ ভাড়া করে সেতু পার হচ্ছেন তারা।
এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা হতেই পারে। যে সমস্যাগুলো হয়েছে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণে কাজ করা যেতে পারে। তাই বলে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করা ভালো সিদ্ধান্ত নয়। যদি কোনো বাস দুর্ঘটনায় পড়ে, তাহলে কি বাস চলাচলও নিষিদ্ধ করা হবে।
সোমবার সকালে ফেসবুকে এক গণমাধ্যমকর্মীর শেয়ার দেওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, একটি পিকআপে ৭-৮ জন যুবক বেশ কয়েকটি বাইক নিয়ে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার সামনে অপেক্ষা করছেন। এসময় তাদের ভাড়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, প্রতিটি বাইক ৪০০ টাকা করে সেতু পার করিয়ে দিচ্ছে পিকআপের চালক।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “পিকআপে মোটরসাইকেল পার হচ্ছে- এমন কোনো দৃশ্য আমাদের চোখে পড়েনি। দেখলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”