পদ্মা সেতুর বেষ্টনী প্রাচীর টপকে সেতুতে উঠে পড়ে সাধারণ জনতা। দলে দলে মানুষ হেঁটে সেতুতে ঘুরে বেড়াতে থাকে। অবশ্য এ সময় তাদের বাধা দেননি সেতুতে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরে পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে গেলে নিয়ন্ত্রণে নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শনিবার (২৫ জুন) স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার এ সেতুতে পার হবে যানবাহন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী, পদ্মা সেতুতে করা যাবে না হাঁটাহাঁটি। থামানো যাবে না গাড়ি। তবে এই নির্দেশনা মানছে না উৎসুক জনতা।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সেতু উদ্বোধন করার পর পরই এই সেতু দিয়ে শরীয়তপুর প্রান্তে যান প্রধানমন্ত্রী। তার গাড়িবহর পদ্মা সেতু পার হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ১টার দিকে সেতুর দিকে ছুটে যায় মানুষ। আনন্দে দিশাহারা হয়ে জনতা পদ্মার বেষ্টনী টপকে সেতুতে উঠে পড়ে। দলে দলে মানুষ হেঁটে সেতুতে ঘুরে বেড়াতে থাকেন।
নিয়ম না থাকলেও এর আগেই বেশ কিছু গাড়ি ও মোটরসাইকেলকে সেতুতে উঠতে দেখা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় হেঁটে সেতুতে উঠতে থাকেন মানুষ।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন অনলাইন সংবাদমাধ্যম নিউজবাংলাকে বলেন, “হঠাৎ করে সেতুর সীমানা প্রাচীর টপকে মানুষ ঢুকে পড়ে। আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই সেই ক্রাউড কন্ট্রোল করি।”
সেতুতে উল্টোপথে মোটর সাইকেল ও গাড়ি কীভাবে উঠল- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সেতুতে গাড়ি বা মোটরসাইকেল উঠেছে কি না এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।”
এ বিষয়ে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মোহম্মদ পাশা বলেন, “সেতুতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল কীভাবে উঠল, সে বিষয়ে আমার কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। আমাদের সেতুর মব কন্ট্রোল করতে বলা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে দুই প্রান্ত থেকে আমরা অ্যাপ্রোচ নিয়ে মব কন্ট্রোল করি। গাড়ি মোটরসাইকেল বা মানুষ কোনোটিকেই আমরা সেতু অতিক্রম করতে দেইনি।”