চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) ১১ মাসে ৮.৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এ তথ্য জানিয়েছে।
ইআরডি জানিয়েছে, বিদেশি ঋণসহায়তা প্রাপ্তিতে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। বিদায়ী অর্থবছর শেষ হতে এক মাস (জুন) বাকি থাকতেই ৮০০ কোটি (৮ বিলিয়ন) ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছে বিদেশি ঋণ।
বর্তমান টাকার বিনিময় হারে এর পরিমাণ ৭৮ হাজার ২২১ কোটি টাকা, যা এক অর্থবছরে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ঋণ। আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ঋণের পরিমাণ ৪৭% বেশি।
ইআরডি কর্মকর্তাদের ধারণা, ২০২২ সালের ৩০ জুন অর্থবছরের শেষ নাগাদ বৈদেশিক ঋণ ৯ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।
শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। তবে অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা দুই দেশের মধ্যে তুলনা নাকচ করছেন। তারা বলছেন, বৈদেশিক ঋণ এখনো বাংলাদেশের জিডিপির ১৩%-এর নিচে। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে তা ৫০%-এর কাছাকাছি।
অর্থনীতিবিদ ও গবেষক আহসান এইচ মনসুর বলেন, “দুই বছরের মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক এবং এডিবিসহ বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ঋণ পাওয়ায় এ উল্লম্ফন হয়েছে।”
ইআরডি তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিগত অর্থবছর ২০২০-২০২১-এ বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ৭.১ বিলিয়ন ডলার ঋণসহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭.৩৮ বিলিয়ন বৈদেশিক ঋণ পেয়েছিল যা ২১ অর্থবছর পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছিল।
২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণ বাড়ছে। একই বছরে এটি এক লাফে ৬.৩৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। তারপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ৬.৫৪ বিলিয়ন ডলারে।