ইয়ার্কি
লেকের ধারে বসে গল্প করতে করতে প্রেমিকা হঠাৎ গদগদ হয়ে বলল, তুমি বন্ধুদের সঙ্গে কত ইয়ার্কি মারো। মজা করো অথচ আমার সঙ্গে একটাও করো না, কেন গো?
কথাটা শুনে প্রেমিকার দিকে এক পলক তাকিয়ে প্রেমিকটি বলল, ওয়াও, তুমি কি সুন্দর গো… এক্কেবারে ফাটাফাটি।
প্রেমিকা সেটা শুনে লজ্জা পেয়ে বলল, থ্যাঙ্ক ইউ।
এটা বলার কয়েক মুহূর্ত পরেই, সে তার প্রেমিকের দিকে কটমট করে তাকাল।
ধোঁকাবাজ
তাপস তড়িঘড়ি এসে রেশমাকে বলল, তুই কি জানিস, তোর প্রেমিক তোকে ঠকাচ্ছে?
রেশমা বলল, কে? রহিম?
তাপস বলল, না।
— অ্যালবার্ট?
তাপস বলল, না।
— রাহুল?
তাপস বলল, হ্যাঁ।
রেশমা বলল, চশমা পরা, না চশমা ছাড়া?
তাপস বলল, চশমা ছাড়া।
রেশমা বলল, ছেলেরা সব এই রকমই হয়, ধোঁকাবাজ।
সর্বনাশ
লেকের ধারে প্রেমিকের পাশে বসে মেয়েটি বলল, এই শোনো, বিয়ের পরে আমাদের যখন বাচ্চা হবে, তখন তার নাম কি রাখবে?
প্রেমিক বলল, সর্বনাশ।
প্রেমিকা অবাক হয়ে বলল, সর্বনাশ! কেন, সর্বনাশ নাম রাখবে কেন?
প্রেমিক বলল, বাচ্চা হওয়ার পরে আমাদের যখন ঝগড়া হবে, তখন যাতে আমি রেগে গিয়ে বলতে পারি, তোমার সঙ্গে বিয়ে করে আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে।
দরজা
লোকটা মাথায় করে দরজা নিয়ে যাচ্ছে দেখে এক প্রতিবেশী বলল ও ভাই, দরজা নিয়ে কোথায় যাচ্ছ? বিক্রি করবে নাকি?
লোকটি বলল, না, আসলে তালার চাবিটা হারিয়ে গেছে তো, তাই দরজার তালাটা খোলার জন্য নিয়ে যাচ্ছি।
প্রতিবেশীটি বলল, এখন যদি কোনও চোর ঢুকে তোমার ঘরের সব জিনিসপত্র নিয়ে যায়?
লোকটা বলল, ঢুকবে কী করে? দরজা তো আমার কাছে।
পাঁচটা বাচ্চা থাকলেই
স্বামী হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বউকে বলল, শুনছ, খবরের কাগজে কী লিখেছে দেখো…
বউ বলল, কী লিখেছে?
স্বামী বলল, পাঁচটা বাচ্চা থাকলেই নাকি সরকার থেকে ফ্ল্যাট দেবে।
বউ বলল, আমরা কী করে পাব? আমাদের তো মাত্র তিনটে বাচ্চা।
স্বামী বলল, আমার এক্সের কাছে আরও দুটো বাচ্চা আছে না? ও দুটোকে নিয়ে আসব। তা আমাদের বাচ্চাগুলো কোথায়?
বউ বলল, তুমি একাই কি শুধু খবরের কাগজ পড়ো নাকি? যাদের বাচ্চা তারা নিয়ে গেছে।
মিলেমিশে
ছেলেটি এসে বলল, আমি তোমার মনে থাকতে চাই।
মেয়েটি বলল, থাকতেই পারো। তবে একটা শর্ত আছে। ছেলেটি বলল, কী শর্ত?
মেয়েটি বলল, ওখানে আরও যে ছেলেগুলো আছে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করতে পারবে না।
ছেলেটি বলল, মানে?
মেয়েটি বলল, মিলেমিশে থাকবি।