জাপানের ৩০ বছর বয়সী ২৫ শতাংশ নারী-পুরুষ বিয়ে করতে চান না। তারা বলেছেন, বিয়ে করলে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা খর্ব হয়। করতে হয় সাংসারিক কাজকর্ম।
আছে আর্থিক দায়িত্বও। রাষ্ট্রীয় জরিপে বলা হয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটিতে সবচেয়ে কম বিয়ে হয়েছে গেলো বছর। এতে চিন্তার ভাজ পড়েছে দেশটির কর্তাদের কপালে।
সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষ বাস করে জাপানে। জন্মহারও কমছে ব্যাপকভাবে। নতুন এক জরিপে বলা হয়, এক চতুর্থাংশ তরুণ-তরুণী বিয়েতেও অনাগ্রহী।
২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২’র জানুয়ারিতে জরিপটি করা হয়। অংশ নেয় ২০ হাজার নাগরিক। বয়স ২০-৬০ বছরের মধ্যে। লিঙ্গসমতা সংক্রান্ত সরকারি শ্বেতপত্রে এটি প্রকাশ হয়।
বলা হয়, ৫৪ শতাংশ পুরুষ, ৬২ শতাংশ নারী ৩০ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন। অবিবাহিত ৪৬ শতাংশ নারী-পুরুষ ত্রিশের মধ্যে বিয়ে করতে চান।
তবে ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ, ২৫ দশমিক চার শতাংশ নারী অবিবাহিত থাকতে চান। ২০ বছর বয়সী ১৯ দশমিক তিন শতাংশ তরুণ, ১৪ শতাংশ নারী বিয়ে করতে চান না।
স্বাধীন থাকতে চাওয়া বিয়ে না করার কারণ বলে জানান জরিপে অংশ নেয়া সব বয়সী নারী-পুরুষ। এর পাশাপাশি সাংসারিক নানা ঝুট ঝামেলার কথাও বলেছেন তারা।
এছাড়া নারীরা জানান, বিয়ের পর সংসারের কাজকর্ম, শিশু লালন-পালন, পরিবারের দেখভালের দায়িত্ব নিতে হয়, তাই বিয়েতে অনাগ্রহী।
অন্যদিকে পুরুষরা জানিয়েছেন, আর্থিক সক্ষমতার অভাব, চাকরির অনিশ্চয়তা বিয়ে করতে না চাওয়ার অন্যতম কারণ। তাছাড়া সংসারের নানা কাজকর্ম ও দায়িত্ব তো আছেই।
অন্যদিকে কমছে শিশু জন্মদানের হার। ২০২১ সালে জাপানে আট লাখ ১১ হাজার ৬০৪টি শিশু জন্মেছে। টানা ছয় বছর সর্বনিম্ন শিশু জন্মের হার। আরও কমবে বলে শ্বেতপত্রে সতর্ক করা হয়।
পরিস্থিতি উত্তরণে বিয়ে, সন্তান জন্মদানের বিষয়ে ইতিবাচক প্রচারণার কথা বলা হয়। নারী-পুরুষ যাতে বিয়েতে উৎসাহী, শিশু জন্মদানে আগ্রহী হয়, সেরকম পরিবেশ তৈরির কথা বলা হয়।
তরুণ-তরুণীদের জন্য চাকরির নিশ্চয়তা, একক পরিবার গঠন, কর কমানোর মতো বিষয় বিবেচনায় সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।