সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে গিয়ে বন্যায় আটকা পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০০ জন যাত্রী নিয়ে সিলেটের দিকে আসা কপোতাক্ষ-অনির্বাণ নামের একটি লঞ্চ সুরমা নদীর মাঝে পৌঁছানোর পর নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে মাঝ নদীতে আটকা পড়েছেন ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০০ জন যাত্রী।
জানা গেছে, আটকে পড়া যাত্রীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিয়ে প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছেন। নদীতে তীব্র স্রোত এবং বৃষ্টি হওয়ায় তারা নদীর মাঝখানে আতঙ্কে আছেন।
ঘটনাস্থল থেকে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব আহমেদ জানান, সকালে ঢাবির ৩৭ শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০০ জন যাত্রী নিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসে কপোতাক্ষ-অনির্বাণ লঞ্চটি। কিন্তু, সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর দুয়ারাবাজার এলাকায় আষাঢ় পর লঞ্চটির তিনটি ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। পরে লঞ্চটি নদীর মাঝখানে আটকা পড়ে।
তিনি বলেন, “নদীতে তীব্র স্রোত এবং বৃষ্টি হচ্ছে। লঞ্চটি এখানেই থেমে আছে। আমরা সবাই আতঙ্কে আছি। এখানের বেশিরভাগ যাত্রী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। আমরা প্রশাসনের কাছে আমাদের উদ্ধারের আকুতি জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আহমদ বলেন, “আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি। সুনামগঞ্জে থাকা সেনাবাহিনীর টিমকে তিনি এ বিষয়ে জানিয়েছেন। সেখানকার সেনাবাহিনী শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।”