সিলেটে উঁচু এলাকাগুলোও প্লাবিত হয়ে পড়ছে। শনিবার (১৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টার মধ্যে নতুন করে নগরের অন্তত ২৫টি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে সিলেট নগররের পুরোটা কার্যত প্লাবিত হয়ে পড়ল। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে এসব স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বুধবার দ্বিতীয় দফায় বন্যা শুরু হওয়ার পর সুরমা নদীর পানি উপচে নগরের অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত মাত্র দেড় ঘণ্টায় নগরের নতুন ২৫টি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে এসব এলাকায় হাঁটুসমান পানি দেখা দিয়েছে। এদিকে আগে থেকে প্লাবিত এলাকাগুলোর অবস্থা আরও করুণ হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় কোমর থেকে গলাসমান পানি দেখা গেছে।
শনিবার দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে নগরের ভাতালিয়া, লামাবাজার, পাঠানটুলা, পায়রা মহল্লা, ফাজিলচিশত, মীরাবাজার, হাজীপাড়া, আখালিয়া, সুরমা, ভ্যালিসিটি, বাদামবাগিচা, সেনপাড়া, বালুচর, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বাগবাড়ি, বারুতখানা ও জল্লারপাড়সহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মানুষের বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ার পাশাপাশি রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকেছে। এতে মানুষজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে এসব এলাকার অনেককেই নিরাপদে সরে যেতে দেখা গেছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বন্যার পানি বেড়ে চলছে। তবে ধৈর্য ধরে সবাইকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। এরই মধ্যে নগরে পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও চালু করা হবে। পাশাপাশি ত্রাণ কার্যক্রমও অব্যাহত আছে।