সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার পানি বেড়ে্ই চলেছে। এখনো অনেক মানুষ পানিতে আটকা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে শুক্রবার থেকে বিভিন্ন উপজেলায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা শুরু করেছে।শনিবার (১৮ জুন) সকাল থেকে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত হয়েছেন।
এছাড়া শনিবার উদ্ধার তৎপরতায় কোস্ট গার্ডের সদস্যরা যুক্ত হচ্ছেন, পাশাপাশি বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টারও উদ্ধার কাজে যুক্ত হচ্ছে।
সিলেট জেলা প্রশাসনের প্রেস উইং থেকে সহকারী কমিশনার আহসানুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নৌবাহিনীর ৩৫ জনের একটি ডুবুরিদল কাজ শুরু করেছে। বিকেলে ৬০ জনের আরেকটি দল সিলেটে আসবে। কোস্ট গার্ডের দুটি ক্রুজ দুপুরের পর আসবে। একটি সুনামগঞ্জ যাবে এবং একটি সিলেটে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত হবে
সহকারী কমিশনার আহসানুল আলম জানান, নৌবাহিনীর একটি দল সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে কাজ করছে, অপর একটি দল কোম্পানিগঞ্জের দিকে রয়েছে।সেনাবাহিনী সিলেট সদর, কোম্পানিগঞ্জ এবং গোয়াইনঘাটে উদ্ধার কাজে চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্যার পানিতে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সদস্যরাও।
বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে উদ্ধার কাজ চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় শুক্রবার সকালে উদ্ধার কাজসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চান সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
জেলা প্রশাসকের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুর থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৮টি উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৯টি টিম কাজ শুরু করে। “রেসকিউ বোট” দিয়ে তারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করছে।