সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে “কোরআন অবমাননা ও ইসলাম ধর্মের নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির” অভিযোগে নওগাঁয় এক কলেজশিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষকের নাম আব্দুর রউফ মিঞা। তিনি জেলার রাণীনগর মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাতে নওগাঁ সদর উপজেলার কাঁঠালতলী এলাকার নিজ বাসভবন থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) সেলিম রেজা সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রউফ মিঞার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, তিন দিন আগে সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রউফ মিঞা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি কবিতা পোস্ট করেন। ওই কবিতায় কোরআন অবমাননা ও নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এ অভিযোগের কথা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় একটি পক্ষ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানায়।
বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর থেকে স্থানীয়দের একটি পক্ষ তার বিচার দাবিতে কলেজে অবস্থান নেয়। বিকেল ৩টার দিকে সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রউফ মিঞাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপর অবস্থানরত জনতা কলেজ প্রাঙ্গন ত্যাগ করে।
সন্ধ্যায় তাকে তার বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে রাণীনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মিরাজুল ইসলাম বলেন, “কোরআন অবমাননা ও নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তি করায় আব্দুর রউফ মিঞাকে বৃহস্পতিবার শোকজ করা হয়। শোকজের কপি তার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।”
শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কলেজের সভাপতি শাহাদাত হুসেইন বলেন, “কটূক্তির ঘটনাটি জানাজানি হলে অধ্যক্ষ ওই শিক্ষককে শোকজ করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রউফ মিঞা বলেন, “আমি কবিতা লেখেছি। কাউকে নিয়ে কটূক্তি করিনি।”
কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে তিনি বলেন, “শোকজের কোনো কপি আমি পাইনি। এ বিষয়ে আমি জানি না।”
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে অধ্যাপক আব্দুর রউফ মিঞা সপরিবারে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন।