নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা বেড়ে চলেছে বলা যায়। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা, এনজিওর করা জরিপ প্রতিবেদনে বিষয়টি স্পষ্ট। তবে জাতীয় জরুরি পরিষেবায়ও এমন তথ্য দেখা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) পরিষেবাটির পরিসংখ্যানের বরাতে দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলো এক প্রতিবেদনে জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে নারীর প্রতি সহিংসতার বিভিন্ন ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সারা দেশ থেকে ৮ হাজার ৪২টি ফোনকল এসেছে। তার মধ্যে যৌন হয়রানি-উত্ত্যক্তের প্রতিকার চেয়ে কল এসেছে ৭০৩টি।
২০২১ সালে এক বছরে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় ১২ হাজার ১৬৯টি কল এসেছিল। এর মধ্যে ১ হাজার ৭১টি কল এসেছিল যৌন হয়রানির ঘটনায়। ২০২০ সালে ৯৯৯ নম্বরে নারীর প্রতি সহিংসতার অভিযোগে ৬ হাজার ৩৩১টি কল এসেছিল। তার মধ্যে ৮৯৫টি ছিল যৌন হয়রানিবিষয়ক।
২০১৯ সালে নারীর প্রতি সহিংসতার অভিযোগে ৩ হাজার ১১৫টি কল আসে। তার মধ্যে ৭৩১টি যৌন হয়রানির ঘটনায়। ২০১৮ সালে নারীর প্রতি সহিংসতার অভিযোগে ২ হাজার ২৯২টি কল আসে। এর মধ্যে ৬৯২টি কর ছিল যৌন হয়রানির প্রতিকার চেয়ে।
সাম্প্রতিক সময়ে ৯৯৯ নম্বরে এ ধরনের অভিযোগে ফোনকলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে পরিষেবাটির ফোকাল পারসন (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, কলের সংখ্যা বেড়েছে মানে যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়ে গেছে, সেটা বলা যায় না। মানুষ আগের চেয়ে সচেতন হচ্ছে। তাই তারা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে প্রতিকার চাইছে। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে যে প্রতিকার পাওয়া যায়, সে তথ্য মানুষ বেশি করে জানছে। তাই দিন দিন এখানে ফোনকলের সংখ্যাও বাড়ছে। পথেঘাটে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটলে যেকোনো শ্রেণি-পেশার মানুষই এখন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করছেন।
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর (৯৯৯) সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ভুক্তভোগী, তাঁদের মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন, এমনকি এলাকাবাসী বা পথচারীরা ফোন করছেন।