গত কয়েকদিন ধরে চলচ্চিত্র অভিনেতা জায়েদ খান ও ওমর সানীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরগরম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ঢালিউডপাড়া। ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে জায়েদ খানকে চড় মারেন ওমর সানী। এরপর পিস্তল বের করে গুলি করতে চান জায়েদ খান।
এই ঘটনায় মর্মাহত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তিনি বলেন, “শিল্পীদের এখন আর ভাবমূর্তি বলে কিছুই নাই। নির্বাচনে ধ্বংস হয়ে গেছে ৯৯%। বাকি ছিল ১%, সেটাও এখন শেষ হয়ে যাচ্ছে।”
সিনিয়র এই অভিনেতা মনে করেন, অনেক রকম নোংরামি হয়েছে চলচ্চিত্রের শিল্পীদের ঘিরে, এখনো হচ্ছে। এসব ঘটনার পর চলচ্চিত্র অঙ্গনে থাকার মতো আর কোনো পরিবেশ নেই। তাই তিনি চলচ্চিত্র থেকে বিদায়ের কথা বললেন।
তিনি বলেন, “আমার বোধ হয় আর দুই-তিনটা ছবির গল্প বাকি আছে। এই ছবিগুলো শেষ করার পর চলচ্চিত্রকে বিদায় জানাব ভাবছি।”
মনঃক্ষুণ্ণ ডিপজল আরও বলেন, “ভেবেছিলাম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সিনেমা বানিয়ে যাব, দর্শকের হাসিখুশি দেখব। সেটা মনে হচ্ছে আর হলো না। আর বড়জোর তিনটা ছবি করতে পারি, এরপরে সিনেমাকে গুডবাই। এত নোংরামি ঢুকছে, যা অকল্পনীয়। ইন্ডাস্ট্রি শেষ হয়ে গেছে।”
উল্লেখ্য, শুক্রবার ঢাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনার অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে অভিনেতা ওমর সানী চড় মারেন। এ সময় জায়েদ খানও পিস্তল বের করে ওমর সানীকে গুলি করার হুমকি দেন বলেও জানা যায়।
ওমর সানীর দাবি, তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে বিরক্ত করায় তিনি জায়েদ খানকে চড় মেরেছেন। তবে জায়েদ খান প্রথম থেকেই চড় দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করে আসছিলেন। এমনকি, তার সঙ্গে পিস্তল ছিল না বলেও জানান এ অভিনেতা।
পরবর্তীতে রবিবার জায়েদ খানের বিরুদ্ধে রবিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী। অভিযোগে তিনি জায়েদ খানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী এবং চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে হয়রানি এবং বিরক্ত করার অভিযোগ আনেন। এমনকি, জায়েদ খান তাদের সুখের সংসার ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন।
তবে ওমর সানীর স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীর দাবি, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং জায়েদ খান তাকে যথেষ্ট সম্মান করেন এবং সে একজন ভালো ছেলে। মৌসুমী জায়েদ খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে দিলেও তাকে দোষারোপ করতে নারাজ ওমর সানী। স্ত্রীর এমন মন্তব্যের পরেও জায়েদ খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে নিজের অবস্থান থেকে এক চুলও সরবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে মৌসুমী-ওমর সানী দম্পতির ছেলেও বাবার পক্ষে দাঁড়ান।