১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার তিনটি চেক জালিয়াতির মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন লক্ষ্মীপুরের আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লক্ষ্মীপুর সদর আদালতের বিচারক শামছুল আরেফিন এ আদেশ দেন।
মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপক (ফাইন্যান্স) জায়েদ হাসান ও জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (ফাইন্যান্স) আবদুল্যা আল মাসুদ।
গত ২৭ ও ২৮ মার্চ বাদী হয়ে ইভ্যালির সিইওসহ চারজনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লক্ষ্মীপুর সদর আদালতে তিনটি মামলা করেন আইনজীবী ও ভুক্তভোগী মুহাম্মদ মাহমুদুল হক।
মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, মাহমুদুল হক এসি, টিভি, ফ্রিজ ও মোটরসাইকেল কেনার জন্য ইভ্যালিতে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু ইভ্যালি পণ্যগুলো দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ইভ্যালির কর্মকর্তা জায়েদ হাসান ও আবদুল্যা আল মাসুদের যৌথ স্বাক্ষরে মিডল্যান্ড ব্যাংক হিসাবে ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার তিনটি চেক কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাহমুদুল হকের কাছে পাঠানো হয়।
মাহমুদুল হক চেকগুলো নগদায়নের জন্য ১৩ জানুয়ারি নিজের ওয়ান ব্যাংকের হিসাবে জমা দেন। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকার পৃথক চেক ছিল। ওয়ান ব্যাংক থেকে চেকগুলো নগদায়নের জন্য মিডল্যান্ড ব্যাংকে পাঠালে জানা যায় ইভ্যালির হিসাব বন্ধ রয়েছে। এতে চেকগুলো ফেরত আসে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মাহমুদল হক আইনজীবীর মাধ্যমে পাওনা টাকার জন্য অভিযুক্তদের আইনি নোটিশ দেন। কিন্তু তারা পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি ও চেকগুলোও ফেরত নেয়নি। এতে ইভ্যালির ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা ও হিসাব বন্ধ থাকা সত্ত্বেও চেকগুলো দেওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
মুহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, “মামলাগুলো আমলে নিয়ে বিচারক সমন জারি করেন। আজ আসামিদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য আদালত নোটিশ পাঠায়। কিন্তু তাঁরা আদালতে উপস্থিত হননি। এ কারণে আদালতের বিচারক তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।”