বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের নাম দিল্লি। ভারতের জাতীয় রাজধানী এই শহরে বায়ু দূষণও প্রকট। এই পরিস্থিতিতে বায়ু দূষণের কারণে দিল্লির বাসিন্দাদের গড় আয়ু কমেছে প্রায় ১০ বছর। অন্যদিকে ভারতের অন্যতম বৃহৎ আরেক শহর লখনৌতে গড় আয়ু কমেছে ৯.৫ বছর।
য়ুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট অব শিকাগোর (ইপিআইসি) সর্বশেষ এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্সে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এতে বলা হয়েছে, ইউনিভার্সিটি অব এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট অব শিকাগোর (ইপিআইসি) সর্বশেষ এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্সের এই রিপোর্টে মূলত লাইফ এক্সপেক্টেন্সি বা আয়ুষ্কাল প্রত্যাশার বিপরীতে বায়ু দূষণের প্রভাব প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
এনডিটিভি বলছে, ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত অঞ্চল। ইপিআইসি’র এই রিপোর্ট অনুসারে, বর্তমান হারের মতো দূষণের মাত্রা অব্যাহত থাকলে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পর্যন্ত ৫০ কোটির বেশি মানুষ গড় আয়ু ৭.৬ বছর হারাতে পারে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এর ফলে ধূমপানের চেয়েও বেশি মারাত্মক হয়ে উঠেছে বায়ু দূষণ। কারণ ধূমপানের কারণে মানুষ গড়ে ১.৫ বছর এবং শিশু ও মাতৃ অপুষ্টির কারণে ১.৮ বছর আয়ুষ্কাল হ্রাস হয়ে থাকে।
যদিও বাংলাদেশের পর ভারত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত দেশ, তারপরও ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে ২০২০ সালের তুলনায় বায়ু দূষণের পরিমাণ বেড়েছে। প্রতিবেদনের লেখকরা বায়ু দূষণকে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক স্বাস্থ্য হুমকি বলে অভিহিত করেছেন যা মূলত ভ্রূণের পর্যায় থেকে শুরু হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন লকডাউন জারি থাকা সত্ত্বেও ২০২০ সালে ভারতে বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে ভারতীয়দের গড় আয়ু কমেছে পাঁচ বছর।
অন্যদিকে এই কারণে একই সময়ে বিশ্বব্যাপী গড় আয়ু কমেছে ২.২ বছর। এছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তানসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলেই এই সংকট বেড়েছে।