পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এক সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ দূষণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত।
সোমবার (১৩ জুন) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জনস্বার্থে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ এই আদেশ দেন।
রুলে দূষণকারীদের নাম প্রকাশে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং নাম প্রকাশে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না-তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তহের মধ্যে পরিবেশ ও তথ্য সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সাতজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তর পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করবে না- এমন সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশের পর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এইচআরপিবি’র প্রেসিডেন্ট ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।
মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, তথ্য অধিকার আইনের ৬(১) এবং পরিবেশ আইনের ৪(২) (চ) ধারার বিধান অনুসারে কর্তৃপক্ষ দূষণকারীদের সব তথ্য প্রকাশ করতে আইনিভাবে বাধ্য। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর আইনকে অমান্য করে দূষণকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।