ফেনীর দাগনভুঁইয়ার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের দেউলিয়া নুরানীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ জুন) নির্যাতিত শিশুটি মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। এরপর রাত ৩টায় টহলরত পুলিশের গাড়ীর সামনে পড়লে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
জাহিদুলের বাবা আব্দুলাহ আল মামুন জানান, জাহিদুল হাসানকে বছরের শুরুতে ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। শনিবার মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যায় জাহিদ। এরপর জাহিদ তার বাবার কাছে নির্যাতনের অভিযোগ করে মাদ্রাসায় আর পড়বে না বলে জানায়। পরে অধ্যক্ষ প্রতিশ্রুতিতে তাকে বুঝিয়ে পুনরায় মাদ্রাসায় রেখে আসেন তার বাবা।
ভুক্তভোগীর বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, ওইদিন রাতে অধ্যক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটিকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটকে রাখেন ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। পরে রাত ৩টায় শিশুটি বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে রাস্তায় নেমে আসলে টহলরত পুলিশের একটি দল তাকে উদ্ধার করে।
দাগনভুঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান ইমাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ফখরুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।