দাবদাহের মধ্য উভয় সংকটে পাকিস্তানের করাচি। দিনে বিদ্যুৎ থাকছে না ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। বিদ্যুতের অভাবে বেড়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।
দুষিত পানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু, বৃদ্ধরা। এছাড়া, বিদ্যুৎ সংকটে থমকে পড়েছে উৎপাদন। বিপাকে শ্রমিক ও দরিদ্ররা।
পাকিস্তানে প্রতিদিন গড়ে, ছয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি। শিক্ষার পাশাপাশি প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতেও। বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎচালিত কারখানা।
শ্রমিক, দারিদ্ররা পড়েছেন বিপাকে। কাজ না থাকায় খাবার তুলে দিতে পারছেন না পরিবারের সদস্যদের মুখে। সব মিলিয়ে এক কঠিন সময় পার করছে দেশটির মানুষ।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, সংকটকে আরও বাড়িয়েছে। এক মাসের মধ্যে লিটার প্রতি দাম বেড়েছে ৬০ রুপি। যার কারণে দরিদ্র মানুষের পক্ষে জেনারেটর ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না।
সরবরাহ বিভাগ ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ কম ব্যবহারের জন্য নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছে। এর মধ্যেই চলছে সীমাহীন লোডশেডিংও। দিন আট দশ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না।
বিদ্যুতের অভাব, পানি সংকট বাড়িয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পাম্প বন্ধ। তাই নাগরিকদের পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
যার কারণে হয় বেশি দামে পানি কিনতে হচ্ছে, নয়তো দাবদাহ মোকাবেলায় দুষিত পানিই পান করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে দুষিত পানির ব্যবহার, দরিদ্রদের মধ্যে বাড়িয়েছে হাসপাতালে ভর্তির হার। ময়লা পানি পানের কারণে বড়-ছোট সবার শরীর খারাপ হচ্ছে। ব
ড়রা সামলে নিতে পারলেও শিশুরা পারছে না। অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হচ্ছে। অবস্থা বেশি খারাপ হলে মারাও যাচ্ছে।
দুষিত পানির কারণে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শিশু ও বৃদ্ধদের সুরক্ষায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।