দৈনিক পত্রিকাগুলো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে টকশো ও নিউজরুম খুলে বুলেটিন প্রচার করে তাদের ডিক্লারেশনের শর্ত ভঙ্গ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, “পত্রিকা যদি টকশো করে তাহলে তো সেটি পত্রিকার ডিক্লারেশনের বরখেলাপ হয়। পত্রিকার ডিক্লারেশনে তো টকশো করার অনুমতি ছিল না। সেটি যদি একাঙ্কিকা বা নাটকও হয়, সেটিও তো ডিক্লারেশনে ছিল না। তবে হ্যাঁ, নিউজ সম্পর্কিত ভিডিও ক্লিপ যদি যায়, সেটিতে আমি তেমন সমস্যার কিছু দেখি না।”
বুধবার (৮ জুন) সচিবালয়ে টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাটকোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নিউজের সঙ্গে ভিডিও ক্লিপ যেতেই পারে। এটা বিভিন্ন দেশে হয়ে থাকে। তবে রীতিমত টকশো! আবার অনেকে নিউজরুম খুলে বুলেটিন প্রচার করে, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা ডিক্লারেশনের যে নীতি আছে তার বরখেলাপ।’
এ সময় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সুযোগ নিয়ে অনেক সাংবাদিকও মামলা করেছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের প্রয়োজন আছে। কোনো সাংবাদিক অহেতুক বা মিথ্যা মামলায় হয়রানি হওয়া উচিত নয়, কারোই হওয়া উচিত নয়। কিন্তু কেউ অপরাধ করলে বিচার হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে হওয়া মামলায় রাঙ্গামাটির সাংবাদিক ফজলে এলাহীকে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হলে ৭ দিনের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে তাকে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বলা হয়েছে।
সাংবাদিক ফজলে এলাহীর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “সাংবাদিক ফজলে এলাহীর ক্ষেত্রে কি হয়েছে আমি জানি না। একজন প্রাইভেট পার্সন মামলা করেছে এবং তার জামিনও হয়েছে। তার প্রতি যেন কোনো অবিচার না হয় সেটা দেখার বিষয়। সে বিষয়ে আমরা সচেষ্ট আছি। আমি বিষয়টি জেনেছি, তার প্রতি যাতে কোনো অন্যায় না হয় সেটি অবশ্যই আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেখব।”