চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ যদি জড়িত থাকে, সে যে দলেরই হোক না কেন তদন্ত সাপেক্ষে গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর ফুলবাড়ীয়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার ফাইটার মো. শাকিল তরফদারের জানাজা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম কাজ করছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার গাফিলতি, কোনো উদ্দেশ আছে কি না, কেউ পুড়িয়েছে কি না কিছুই বলা যাচ্ছে না। নিশ্চয়ই কিছু একটা ঘটেছে, না হলে এতগুলো প্রাণ যায় না। সেটা আমি বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, তারা (ফায়ার ফাইটার) যে অকুতোভয় সেটা তারা সব সময় প্রমাণ দিয়েছেন। আপনারা জঙ্গি দমনেও দেখেছেন সিলেটে একজন জীবন দিয়েছেন। বনানীর এফ আর টাওয়ারেও আপনারা দেখেছেন। তারা জানে এখানে ঝুঁকি আছে, তারপরও তারা এক মুহূর্ত দেরি করেনি। তারা ছুটে গিয়েছেন যথাযথ চেষ্টা করেছেন, এতে তাদের ৯ জন শাহাদৎবরণ করেছেন। আরও তিন জনকে আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি এবং ডেড বডিও পাইনি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৪১টি মরদেহ পেয়েছি। এখনও ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি আটকে আছে। আমরা এখনও কোনো কিছু ক্লিয়ার না। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সে বিষয়ে আমরা এখনও জানতে পারিনি। আমাদের শুধু নিহত নয়, আহত এখনও ১৫ জন রয়েছেন। তারা সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা তাদের জন্য দোয়া চেয়েছি।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু ঘণ্টা বাজানো ফায়ার সার্ভিস থেকে আধুনিক ফায়ার সার্ভিসে নিয়ে এসেছি। আজ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত হয়। আগে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর পরে উপস্থিত হতো। এখন আর সেই ফায়ার সার্ভিস নেই— ডিফারেন্সটা এখানেই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি সক্ষম ফায়ার সার্ভিস হিসেবে পরিণত করতে পেরেছি। ক্রমাগতভাবে আমরা তাদের আরও সক্ষমতা বৃদ্ধি করব। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যাতে অগ্নিনির্বাপণের ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়টিও আমরা দেখব।